মঙ্গলবার বাঁকুড়ার দুর্লভপুরে শ্রমিক সংগঠনের কালীপুজোয় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তৃনমূল নেতা মদন মিত্র। প্রবীণ তৃণমূল নেতা ও কামারহাটি বিধায়ক বলেন, "আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা কতটা শক্তিশালী হবে তা বলতে গেলে জ্যোতিষী হতে হয়। তবে এটা বলা যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে সত্তর শতাংশ আসনে মনোনয় দিতে পারবে না বিরোধীরা। এজেন্টও দিতে পারবে না। এই নির্বাচনে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস যে ধাক্কা পাবে তাতে আগামী ২৫ বছর এ রাজ্যে তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দলের পতাকা দেখা যাবে না।
advertisement
আরও পড়ুন : দীপাবলিতে বায়ু দূষণে রেকর্ড পতন কলকাতায়! মঙ্গলেও শহরের আকাশ সবুজ...
অন্যদিকে কালীপুজো মিটতে না মিটতেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সরব বিরোধী শিবিরও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার বলেন, "পঞ্চায়েত ভোট যদি রাজ্য পুলিশ দিয়ে করার উদ্যোগ নেওয়া হয় সরকারি তরফে তাহলে প্রতিবাদ তো হবেই, আমরা আদালতে দ্বারস্থও হব। বিগত পুর নির্বাচনগুলোতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করিয়ে কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। বিষয়টি আদালতেরও নজরে রয়েছে। পুরসভার ভোটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের দাবি থাকবে, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই করার।’’
আরও পড়ুন : ডিম আগে না মুরগি আগে? উত্তর খুঁজতে হিমশিম? আসল রহস্য ফাঁস করলেন গবেষকরা!
তিনি এও বলেন, ‘‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়াই উচিৎ নয়। পঞ্চায়েতে যদি সরকার রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চায় তাহলে আমরা আদালতে যাব।’’ এই নিয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তবে আদালত যা রায়ই দিক, পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের জন্য যে তাঁরা প্রস্তুত সেকথাও স্পষ্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেন, ‘‘সব বুথে লড়াই হবে। আদালতে লড়াই হবে। রাজনীতির ময়দানেও লড়াই হবে।’’
প্রিয়ব্রত গোস্বামী, বাঁকুড়া