এর পর মদন মিত্র বলে চলেন, "তুমি দেখেছো ঘুঘুটি, তাই এত ভুরভুটি, ওহ জয়ঢাক। মমতা বন্দোপাধ্যায় ছিলেন বলেই আমি আজ এই জায়গায়। রাজ চক্রবর্তীকে আমি রাজ অভিষেক করে দেব। আমার কিছু চাই না। আমি পছন্দ করি তোমায়। তোমার খেলায় খুশি৷ ঋতব্রত দুঃখ পেয়ো না। তোমার সাথে অনেকবার কথা হওয়ার কথা ছিল। তোমার চিঠি আমি পেয়েছি। কিন্তু আমি জানতাম সঠিক সময় আসবে। শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে তুমি। তোমাকে লড়তে হবে। এই লড়াইয়ে পাশে থাকব। একটা গোপন ঘর করব৷ আর গোপন বই এনে পড়ব আমরা দুজনে। সকলকে শুভেচ্ছা জানালাম। ফুল আর মিষ্টি দেব। সায়নী তোমার জন্যে আছি। যেখানে অভিষেক বলবে সেখানেই আমি যাব। আমি সেখানেই যাব, যেখানে শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ করেছিল। দিদির কাছে মদন মিত্রের ফেসবুকের চেয়ে ফেস ভ্যালু অনেক বেশি৷ কোথাও কোনও দাগ নেই। চন্দ্রিমাদি ও সুব্রত বক্সী বলেছেন, আমার কথা কত লোক শোনে। কালকের পর থেকে সেই মদন মিত্রকে আর পাবেন না, যে মদন মিত্রকে কথায় কথায় পেতেন। "দোলাও দোলাও, দোলাও আমার হৃদয়"। একটা বিরাট কাজ আজ মমতা বন্দোপাধ্যায় করে দিয়েছেন। চন্দ্রিমা দিকে বলে দিয়েছেন আমাদের সব কাজ করে দিতে। আর শোনো ঘটি বাটি পাশে থাকলে ঝনঝন আওয়াজ হয়৷ এত বড় জাহাজ একটু তো ধাক্কা লাগবেই। তবে সেই ধাক্কা ব্যক্তিগত নয়। আমি গোপাল সাহাকে বলছি আগামীকাল দুপুর ১টায় তুমি সব কাউন্সিলরদের ডাকো৷ কার কি চাই? সবাইকে ডাল, ভাত, তরকারি আর দই খাওয়াব। অসাধারণ আজ মিটিং হল। আমি বুঝতেই পারছি না। এটা তৃণমূলের টিম। বিজেপি যেমন ল্যাক ল্যাক করছে তাতে ওদের আর কেউ থাকবে না। আমাদের আর কি পাওয়ার আছে বলুন? আমি এমএলএ হ্যাটট্রিক। গোপাল তুমি আর আমি বসব। কামারহাটিকে সাজিয়ে দেব। নাম হবে একদিন গোপালনগর।
advertisement
তবে কি দিদির বকুনি খেয়ে অভিমান হল মদন মিত্রের! সেসব নিয়ে তিনি কিছু বললেন না। তবে বললেন, ''এক গুরুর শিষ্য, আরেক শিষ্যের ক্ষতি করতে পারে না। কালকের মিটিং ডাকছো কিনা আমায় জানিও। প্রশাসক তার কাজ করবে, এম এল এ তার কাজ করবে৷ গোপাল তুমি যে চেয়ারম্যান হয়েছো, তোমার কাউন্সিলরদের বলে দিও আমি যতদিন বেঁচে আছি কারও ক্ষমতা হবে না তোমায় কিছু করার। আমি হিংসুটে নই, আমি ঝগড়ুটে। কিন্তু আমি ক্ষতি করি না। তুমি প্রশাসক থাকবে। তবে আজ কিন্তু কোনও প্রশাসককে ডাকেনি মিটিংয়ে।''