জানা যায় করোনা কালে ফ্রি ফায়ার গেম খেলার সময় পরিচয় হয় একটি মেয়ের সঙ্গে। তার সঙ্গে বেশ কিছুদিন গেম খেলেন। এবং খেলার মাধ্যমে কথোপকথন শুরু হয় তাঁদের। এর পর সেই কথোপকথন থেকেই হয় বন্ধুত্ব এবং শেষে প্রেম। যার অন্তিম পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় বর্তমানে বিয়ে!
জানা যায় সুব্রত বিশ্বাস একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করতেন। করোনা সময় দোকান বন্ধ থাকায় গেমেই মন দেয় তিনি। সে সময় আলাপ হয় গার্ডেন রিচ এলাকার বাসিন্দা প্রীতি প্রামাণিকের সঙ্গে। প্রীতিদের অবস্থাও আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিল না। বাবা পেশায় ভ্যানচালক। বাড়িতে রয়েছে ছোট ভাই এবং মা। সেই সময় দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়লেও আর্থিক অনটনের জন্যেই দ্বাদশ শ্রেণীর পরে আর পড়াশোনা হয়নি। এরপর বেশ কিছু বছর পরে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন পালিয়ে বিয়ে করার। কিন্তু পরিবারকে বোঝানোর পরে পরিবার থেকে মেনে নেয় তাদের দুজনের সম্পর্ক। এবং এক করে দেয় চার হাত।
advertisement
আরও পড়ুন : তিরতিরে ঢেউয়ে ইতিহাসের গুঞ্জন! গৌড়রাজ শশাঙ্কের সময় খনন করা পুষ্করিণী আজও টলটলে
সুব্রত এবং প্রীতি জানাচ্ছে, বর্তমানে সংসার এবং কর্মব্যস্ততা চাপে আর গেম খেলা হয় না। তবে গেমের যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমন মন্দ দিকও রয়েছে। বিশেষ করে তাঁরা বাচ্চাদের বেশি সময় ধরে মোবাইল গেম এর প্রতি আসক্ত হতে বারণ করলেন। এবং পাশাপাশি মজার ছলে তাঁরা জানালেন যে সব ছেলেরা এখনও অবিবাহিত, তাঁরা একবার অবসর সময়ে গেম খেলে যাচাই করে দেখতেই পারেন। ভাগ্য ভাল থাকলে গেম খেলেই পেয়ে যেতে পারেন নিজের প্রিয়জনকে।