পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের জানা যায়, প্রেমে পরিণতি নেই বুঝেই একসঙ্গে মৃত্যু বেছে নিয়েছেন দু’জন। পিন্টু ঘড়োই এবং অপর্না সাউ সম্পর্কে জামাই, বৌদি। পিন্টুর বাড়ি কলকাতায়, কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর তিনি কাজের খোঁজে ঝাড়গ্রামে চলে আসেন। এবং এখানেই ড্রাইভারি করেন। বাড়ি ভাড়া নেন শ্বশুরবাড়ির অদুরে শিরিশচক এলাকায়। পাশেই রাধানগর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি হওয়ায় শ্যালকের বৌ অপর্নার সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পিন্টু। মাঝেমাঝেই পিন্টুর বাড়িতে আসাযাওয়া শুরু করেন তাঁরা। এই বিষয়টা জানাজানি হওয়ায় পিন্টুর বাড়িওয়ালা এখানে অপর্নাকে আসতে মানা করে দেন।
advertisement
আরও খবর: সুখবর! ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার আর চাপ নেই! শিয়ালদহ থেকে কত রাত অবধি চলবে ট্রেন?
তবে শুক্রবার বাড়িওয়ালা বাড়ি না থাকায় পিন্টু অপর্নাকে ফের বাড়িতে ডেকে নেন বলে জানা যায়। তার পরই এই চরম সিদ্ধান্ত। শনিবার সকালে বেলা বাড়লেও পিন্টু বাড়ির দরজা না খোলায় তাঁকে ডাকতে আসেন স্থানীয়রা। ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় জানালা ফাঁক করতে দেখা যায় সিলিং থেকে ঝুলছেন পিন্টু। খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিশ এসে ঘরে ঢুকলে দেখতে পায় শুধু পিন্টু নয়, মৃত্যু হয়েছে অপর্নারও।
তবে পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখছে যে এর পেছনে অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না। পুজোর এমন এক মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
রাজু সিং