এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেরপাড়া মনসাতলায়। সূত্রের খবর সেখানে গতকাল রাত্রে সরস্বতী পুজোর বিসর্জন হয়ে যাওয়ার পর চলছিল ক্লাব সদস্যদের খাওয়া-দাওয়া। পেছনে অন্ধকারে কয়েকজন কী করছিল তা জানা নেই যদিও অন্য সদস্যদের! এরই মধ্যে শুরু হয়েছিল বাগবিতণ্ডা!
advertisement
নদিয়ার শান্তিপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেরপাড়া মনসাতলায়
জানা যায়, অরবিন্দ পাল নামে এক যুবক নাকি প্রতিবেশী রাজা সাধুখার নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাসের কথা জানিয়েছে তার হবু শ্বশুর বাড়িতে, আর তাতেই মেজাজ চটে, মদ্যপ অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিশোধ নিতে দুহাতে মাথার চুল ধরে এক কামড়ে উপড়ে ফেলল নাকের কিছুটা অংশ।
অন্যান্যরা ছুটে আসার আগেই মুখে নাকের কাটা অংশটি অন্ধকারে মাটিতে ফেলে মুখে রক্ত নিয়ে উধাও হয় অভিযুক্ত রাজা। মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে কাঁদতে থাকে অরবিন্দ, কিছু বন্ধু মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বেলে খুঁজতে থাকে নাক এবং সেটি মিলেও যায়।
এরপর পরিবারে খবর দিয়েই যখন ওই যুবককে নিয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, সেখানেই পৌঁছায় যুবকের বাবা অসিত পাল এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। শান্তিপুর হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারির কোনও ব্যবস্থা না থাকার কারণে এবং অরবিন্দর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা জানালেও পরিবার থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শান্তিপুর থেকে যাওয়ার সময় বিশেষ সংরক্ষণের মাধ্যমে কাঁটা ওই নাক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে পরিবারের সদস্যরা গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানালে এবং পরবর্তীতে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত রাজাকে খুঁজে করে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্ত রাজার বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ জমা করে স্থানীয় এক চপ বিক্রেতা গদাই মালাকারকে মারধোরের। তবে কাউন্সিলর প্রতিনিধি সঞ্জয় কর জানান গতকাল রাতেই তার নাক অস্ত্র প্রচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হয়েছে সে এখন কিছুটা সুস্থ।
Mainak Debnath






