পূর্ব বর্ধমান জেলায় চলতি বছরে অর্থাৎ পয়লা এপ্রিল থেকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে চলতি মাসেই মৃত্যু হয়েছে ন জনের। মঙ্গল ও বুধবার মৃত্যু হয়েছে আটজনের। তাদের মধ্যে সাতজনই কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। তাই গ্রামীণ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে সেখানে সচেতনতা মূলক প্রচার চালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমায় ডাকলে বিজেপি নেতাদেরও নিয়ে যাব', জ্যোতিপ্রিয়র মন্তব্যে তুমুল শোরগোল
পূর্ব বর্ধমান জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জামালপুর ব্লকে বজ্রপাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। তারপর সেখানে সচেতনামূলক প্রচার চালানো হয়েছিল। জেলার বাকি এলাকাগুলো এই ধরনের প্রচার চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সেন্সর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের!
গত সপ্তাহে এই জেলার কালনা, মেমারি, গলসি এলাকায় বজ্রপাতে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বাড়িতে থাকাই সব চেয়ে নিরাপদ। তাই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পরিস্থিতি বুঝে বাইরে যাওয়া উচিত।
বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে। উঁচু বাড়ি বা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী স্তম্ভের কাছে আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকলে বাড়ির বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা দরকার। সেই সঙ্গে জল সরাবারের ধাতব পাইপ থেকে দূরে থাকতে হবে। বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা তৈরি করতে পারলে ভালো হয়। চলন্ত গাড়িতে থাকলে জানালার কাচ বন্ধ করে দিতে হবে। বজ্রপাতের সময় কোনও জলাশয় নৌকোয় থাকা নিরাপদ নয়। ধাতব বসু বস্তু সংস্পর্শে না থাকা উচিত। ফাঁকা এলাকায় গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া যাবে না।