তবে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল এই জঙ্গল(Sundarban)। করোনার জন্য বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল সুন্দরবন। বার বার হতাশ হতে হচ্ছিল সুন্দরবন প্রেমীদের। মন খারাপ ছিল বোট ম্যান থেকে ফটোগ্রাফারদের। তবে সব মন খারাপ কাটিয়ে ফের খুলে গেছে সুন্দরবন। পয়লা অক্টোবর থেকেই জঙ্গলে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে। ব্যাঘ্র প্রকল্পেও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এ খবর পাওয়া মাত্রই দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও ছুটে আসছেন পর্যটকরা।
advertisement
সুন্দরবনের মায়া এমনই যে আপনি একবার গিয়ে শান্তি পাবেন না(Sundarban)। বার বার নিশি ডাক ডাকবে মনের গভীরে। হয়ত সেই ডাক থেকেই সকলে ছুটে আসেন এই জঙ্গলে। ফটোগ্রাফাররা সকাল থেকে সন্ধে জঙ্গলে ক্যামেরা তাক করে বসে থাকেন এক ঝলক বাঘ মামার দেখা পাওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে নানা রকম পাখি, হরিণ, কুমির, মাছ এসব তো আছেই। আর আছে বিশাল এক জঙ্গল। হেতাল বন, সুন্দরী, গরানের জঙ্গল কোথাও কোথাও এতটাই গভীর যে আলোই পৌঁছায় না। আর সেখানেই বাচ্চাদের নিয়ে দিব্যি ঘর করছে বাঘেরা।
বর্ষাকাল যেতে যেতেও যাচ্ছে না। নিম্ন চাপের জেরে বর্ষা এখনও রয়েছে। আর এই সময় কাঁকড়া ধরতে ডিঙি নৌকা নিয়ে দেখা মিলে যায় জেলেদেরও। আর জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে বাঘের দেখাও পাওয়া যাচ্ছে বইকি। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলে কথা। কয়েকটা বাচ্চাও আছে আবার। তাই তাদের চোখের সামনে দেখার লোভ সামলানো দায়। তবে সুন্দরবনে যদি শুধু বাঘ দেখতেই যান তাহলে দিতে হবে ধৈর্য্যর পরীক্ষা। তবে আপনার অপেক্ষার ফল সব সময় ভাল নাও হতে পারে! আবার কখনও না চাইতেই সোনা পেয়ে যেতে পারে। অক্টোবরে জঙ্গল খোলার পর থেকে বেশ কয়েকবার বাঘের দেখা মিলেছে। তাই চলে গেলেই হল টুক করে।
কিভাবে যাবেন:
শিয়ালদা থেকে ক্যানিং লোকালে করে পৌঁছে যান ক্যানিং। সেখান থেকে ম্যাজিক ভ্যানে গদখালি। এখানেই আগে থেকে বলে রাখা বোট আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকবে।
বোটের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করবেন:
অনেক বোট আছে ওখানে। একদিনের ঝটিকা সফরেও যাওয়া যায় জঙ্গলে। আবার কেউ কেউ থাকতে পারেন নিজের ইচ্ছেমতো দিন। তার জন্য বোট ম্যানকে বলে রাখতে হবে। সোনার তরী সুন্দরবনের বহুল পরিচিত বোট। কম খরচে এই বোট ম্যানের সঙ্গে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। নাম বসির মিদ্দ্যে। ফোন নম্বর : ৯৭৩২৬৮৬২৩০, আগে থেকে ফোন করে ডেট বুক করে নিন। এই বোটে করেই সুন্দরবন ঘোরেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী।
অথবা যোগাযোগ করুন Odd Traveller-এর সঙ্গে। ফোন করুন : ৯৮৩১৯৩৪৪৮২ / ৮৯১০৯৪২৪৭০
খরচ: আপনার সাধ্যের মধ্যেই। উপরে দেওয়া নম্বরে ফোন করলেই বলে দেওয়া হবে খরচা। তাছাড়া আপনি যে কদিন থাকবেন আপনার সকালের চা থেকে রাতের ডিনার সবটাই বোটের দায়িত্বে। আপনাকে শুধু কষ্ট করে পৌঁছে যেতে হবে।
খাওয়া-দাওয়া: বোটেই আপনি পাবেন সব খাবার। বিশেষ করে সোনার তরী বোটের রান্না অসাধারণ। ডাবের জল দিয়ে শুরু হবে। নানা রকম মাছ ভাজা, ভেটকি, গলদা, কাঁকড়া, চিলি চিকেন থেকে শুরু করে কি খাবেন আপনি। বাঘ দেখা হোক বা না হোক খাবারে মন ভরে যাবেই।