বর্ধমানে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বৃষ্টির অভাবে প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান রোয়া কম হয়েছে। গত বছর রাজ্যে ৪২ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ও আউশ ধানের চাষ হয়েছিল। এবার প্রায় ৩৯ লক্ষ হেক্টরে জমিতে সেই চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে বৃষ্টির খুবই ঘাটতি ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সেই ঘাটতির অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হয়েছে। যে সব জমিতে ধান রোয়া গেল না সেই সব জমিতে বিকল্প চাষের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকার বীজ সরবরাহ করছে কৃষি দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষনের চেষ্টা, বাধা দিলেই ছুরির আঘাত
সাধারণত শ্রাবণ মাসের মধ্যেই খরিফ মরশুমে আমন ও আউশ ধান রোয়ার কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টি ও সেচের জল কম থাকায় অনেক জমিতেই ধান রোয়া সম্ভব হয়নি।
পরবর্তী সময়ে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় অনেক জমিতে ধান রোয়া হয়। তবে রাজ্যের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলায় লক্ষ্য মাত্রার অনেকটাই কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫৭ শতাংশ জমিতে ধান রোয়া যায়নি। বীরভূমেও চল্লিশ শতাংশ জমি অনাবাদি রয়ে গেছে। মুর্শিদাবাদে ৩০ শতাংশ জমিতে ধান দেওয়া যায়নি। পুরুলিয়াতেও ৩১ শতাংশ জমি জলের অভাবে ধান রোয়ার বাইরে থেকে গেছে। বাঁকুড়া জেলায় ২২ শতাংশ জমি অনাবাদি রয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোয়া যায়নি।
আরও পড়ুন রক্ষকই ভক্ষক? পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
ফাঁকা পড়ে থাকা জমিগুলিতে তিল ভুট্টা কলাই ও সবজি চাষের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কৃষি দফতরের মত, জলের অভাবে প্রথম দিকে পরিস্থিতি খুবই সমস্যা সংকুল হয়ে উঠেছিল।তবে পরবর্তী সময়ে কিছুটা বৃষ্টি মেলায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক কাছেই পৌঁছানো গেছে। যেসব জমিতে ধান রোয়া গেল না সেগুলিকে বিকল্প চাষের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।