খগেন মুর্মুর উপর হামলার পর তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই ঘটনার রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘উনি অত্যন্ত সংবেদনশীল। সব ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে যান উনি আগেও দেখা গিয়েছে। রিপোর্ট দিয়েছেন আগেও। উনি ওনার কর্তব্য পালন করছেন। বাংলার মানুষ চাইছে অ্যাকশন। রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর রিপোর্ট দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেটার পরেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে অ্যাটাকের। মানুষ রক্ত দেখেছে। কোনও দৃশ্যমান অ্যাকশন নিন রাজ্যপাল দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ চাইছে।’’
advertisement
শুভেন্দুর দাবি জেলাস্তরের তৃণমূল কর্মীরাও খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জেলা স্তরে তৃণমূল কর্মীরা নিন্দা করছে এই খগেন মুর্মুর হামলার ঘটনায়। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গেছিলেন দেখতে খগেন মুর্মুকে। পার্ক স্ট্রীট খগেন মুর্মু দুটোই ছোট্ট ঘটনা’’।
ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যেতে তো হবেই । উনি তো পাহাড়ে যাননি সেদিন। উনি যাবেন দিন শুরু হবে বারোটায় শেষ হবে চারটায়। চকলেট বিতরণ করবেন বন্ধ চা বাগান খুলিয়ে ছবি তুলবেন। তারপর টাইগার হিলে ভাল শীতের আমেজ কাটাবেন।’’ উত্তরবঙ্গের পুরস্কারের রাজ্য সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘প্রচারে থাকার জন্য এসব করছে। যে ড্যামেজ হয়েছে কার্নিভালে নাচার জন্য সেটা কন্ট্রোলের জন্য এসব করছে।’’
এস আই আর ইস্যু নিয়েও বৃহস্পতিবার ফের সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘এস আই মানে হলো ভোটার তালিকার সংশোধন। ফাইনাল ভোটার তালিকা প্রকাশ এর পর যেকোনও দিন নির্বাচন কমিশন ভোট করতে পারে। বাংলায় ২০২১ এ সরকার গঠন হয় ৫ই মে। স্বাভাবিক ভাবে ধরে নেওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ এ এপ্রিলের মধ্যে সমগ্র প্রক্রিয়া শেষ করার পর নির্বাচন না করলে অটোমেটিক রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। তাই আমাদের এখানে জানুয়ারি মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়। এস আই আর করতে গিয়ে সেটা আগে পরে হতে পারে। শাসক দল কতখানি ঠিক ও সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে দেয় তার উপর নির্ভর করছে কত তাড়াতাড়ি এটা শেষ হবে। ’’
বিভিন্ন জায়গায় ভোটার বৃদ্ধি নিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সেনসাস হয়েছে শেষ ২০১১ তে। জন্মহার ও ভোটার তালিকা বৃদ্ধি দুটো প্রমাণ আছে। বাংলায় একজন জন্মেছে আর আড়াই জন ভোটার হয়েছে। যারা এসেছে বাংলাদেশ থেকে। এরা অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। এদের নাম থাকবে না। বাংলায় ভোটার বৃদ্ধির হার ২০ থেকে ৩০% । রাজারহাট নিউটাউন-সহ বিভিন্ন এলাকায় ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন হয়েছে। উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর জেলায় এই বৃদ্ধি বেশি। বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী জেলায় এই হার বেশি। যে তথ্য অনেকবার দিয়েছি।’’