তা বাজার শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ পুজো কমিটির পক্ষে শুভঙ্কর পুরোকাইত, মিঠুন দাস প্রমুখরা জানিয়েছেন, ‘‘লক্ষ্মীকে নিয়েই সারা বছর নাড়াচাড়া, লক্ষ্মীকে নিয়েই জীবন অতিবাহিত যখন – তখন সেই লক্ষ্মীপুজো যে ধুমধাম সহকারে করতেই হবে - এই ভাবনাকে সামনে রেখেই বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুরের তা বাজারের এই লক্ষ্মীপুজো শুরু হয়।’’
আরও পড়ুন - চরম চ্যালেঞ্জ নিয়ে দিনের পর দিন চলছিল খোঁজ, আমাজনের গহীণ অরণ্যে পাওয়া গেল ২৫ তলা লম্বা গাছ, রইল ফটো
advertisement
অন্যান্য পুজোর মতই লক্ষ্মী পুজোকে ঘিরেও যে থিমের প্রচলন তাতে নজির গড়েছে এই তা বাজারের ব্যবসায়ীরা। লক্ষ্মী-নারায়ণের পৌরাণিক গল্পের অনুসরণ করেই থিম করা হয়। গতবছর করা হয় নারায়ণের মধু কৈটভ বধ। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ‘‘এই তা বাজারেই একটা সময় ছিল হাতে ভাজা মুড়ির রমরমা। নয়নয় করেও প্রায় ২০ থেকে ২২টি পরিবার এই হাতে ভাজা মুড়ির কারবারে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু চাল নিয়েই তাঁদের কারবার, তাই লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন হয়। ’’
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবছর পুজোর বাজেট প্রায় ২ লক্ষ টাকা। করোনা পরিস্থিতির জেরে গত ২ বছর পুজোর উন্মাদনায় কিছুটা ঘাটতি থাকলেও এবারে তা পুষিয়ে নিতে চাইছেন সকলেই। রাত জেগে হয় দেবীর আরাধনা। রবিবার সারারাত জেগে পুজো চলবে। সোমবার হবে প্রসাদ বিতরণ। মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছে পুজো উপলক্ষে খেলার। বুধবার হবে নরনারায়ণ সেবা। বৃহস্পতিবার হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শুক্রবার হবে শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জন।
বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের এই তা বাজারে হাতে ভাজা মুড়ির রমরমা শেষ হতে বসেছে। হাতে ভাজা মুড়ির স্থান দখল করেছে মেশিনে ভাজা মুড়ি। বর্তমানে মেশিনে ভাজা মুড়ির রমরমা। কমছে হাতে ভাজা মুড়ির কদর। কিন্তু তবুও এই পুজোকে টিকিয়ে রাখতে চাইছেন সকলেই।
Saradindu Ghosh