বৃহস্পতিবার সেই সেন বাড়িতে নিস্তব্ধতা। কারণ বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির মেজো ছেলে লালু সেন ওরফে রাহুলকে জেএমবি জঙ্গি সহযোগী হিসাবে গ্রেপ্তার করছে এসটিএফ। ধৃত লালু সেনের মা সন্ধ্যা সেন জানান, তাঁর ছেলে মূলত বাংলাদেশে গরুর খাবার রপ্তানি করত। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ছেলে মাসের পর মাস থাকে বাংলাদেশে। সেখানেই ঢাকা শহরে এক আইনজীবীকে ছেলে বিয়েও করেছে। জঙ্গি সন্দেহে ধৃত রাহুলের মায়ের দাবী, মেজো ছেলে যাকে বিয়ে করেছে তিনি আবার বাংলাদেশে সরকারি উকিল। তাই বিয়ের পরেও বৌমা এদেশে এসে সংসার করত না।ছেলে ব্যবসা আর বৌমাকে নিয়ে আছে বলেই জানত তাঁরা। কিন্তুু এসটিএফ এর অভিযোগ ধৃত রাহুল এই রাজ্য জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের অংশ।মূলত জেএমবি জঙ্গিদের এই রাজ্যে থাকা, ঘোরা, নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও সময় মতো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পৌছে দেওয়া তার কাজ ছিল। সেই কাজ চালাত সে আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে, দাবী এসটি এফ এর।
advertisement
লালু সেনের কাছ থেকে এ্যাপেলের ল্যাপটপ, আই ফোন, বেশ কিছু সন্দেহজনক কাগজ উদ্ধার করেছে এসটিএফ-এর সদস্যরা। তাদের কয়েকদিন আগে তিন জেএমবি জঙ্গি কে ধরার পরই তারা হদিশ পায় লালু সেনের। এসটিএফ- এর সন্দেহ, শুধুই অর্থ আর গাড়ি দিয়ে সাহায্য নয়, লালু সেন জঙ্গিদের এদেশে থাকার জন্য আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরী করে দিয়ে থাকতে পারে। রাহুল ওরফে লালু সেনের বাড়ির কাছে ড্রেনে বেশ কিছু মোাবাইলের সিম পড়ে ছিল। আর ঘরে রয়েছে পাখি মারার বন্দুক। এই দেখেই আজ প্রতিবেশীদের চক্ষু চড়ক গাছে। তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন, মধুমূরালীর এলাকায় জঙ্গিদের বিচরণ কীভাবে শুরু হল?