বঙ্কিম আনন্দমঠ উপন্যাসও এখানে বসেই লেখেন। মন্দিরের মা কালীকে দেখেই স্বাধীনতার বীজমন্ত্র তৈরি হয়েছিল। বহরমপুরে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লালগোলা জমিদারদের সংস্পর্শে আসেন। পালকিতে করে কাজে যাওয়ার পথে ব্যারাক স্কোয়ার পার হওয়ার সময়, ব্রিটিশ সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডাফিন তাঁকে থামিয়ে দেন। রুট পরিবর্তন করতে বলেন। সেসময় তাঁরা ক্রিকেট খেলছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে নেতাজির শেষ জনসভা! এখান থেকেই স্বরাজের ডাক দিয়েছিলেন ‘বোস’
বঙ্কিম তাতে রাজি না হওয়ার কারণে জানালে ডাফিন তাঁকে মারধর করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে বঙ্কিম তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তারপরেই তিনি লালগোলা এই কালী মন্দিরে আসেন বলেই জানা যায়। বন্দে মাতরম, যেমনটি মূলত ধারণা করা হয়েছিল, ছিল একটি স্লোগান এবং একটি গান। যা ভারতীয়দের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ব্রিটিশ ভারতীয় সরকারের কাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, যা আধুনিক পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্বের কিছু অংশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। বন্দে মাতরম” গানটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লালগোলার কালী মন্দিরের সামনে লিখেছিলেন। গানটি তিনি লিখেছিলেন তাঁর “আনন্দমঠ” উপন্যাসের জন্য। যা ১৮৮২ সালে প্রকাশিত হয়। গানটি মূলত স্বদেশমন্ত্র এবং স্বদেশসংগীত হিসেবে পরিচিত। বঙ্কিমচন্দ্র নৈহাটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং কলকাতায় বসবাস করতেন।