বীরভূম জেলায় মোট ছ'টি জায়গায় ২১৭ টি পাথর খাদান রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ছয়টি বৈধ, যাদের দীর্ঘমেয়াদি ছাড়পত্র রয়েছে। বীরভূম জেলায় মোট ১৭০০ টি পাথর ক্র্যাশার ছিল। জেলার বেসরকারি হিসেবে ৮০০ টি ক্র্যাশার চলছে। ২০১৬ সালে ২৯ জুলাই পরিবেশ আদালত জানায় ২১১ টি খাদানের বৈধতা নেই। গতবছর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে পাথর খাদান থেকে আরম্ভ করে ক্র্যাশার সমস্ত কিছু পরিদর্শন করে যায়। সে সময় ক্র্যাশারগুলি এবং খাদানগুলির নিয়ম না মেনে কাজ করার নমুনা পান তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন- "আরজেডি মন্ত্রীরা কোনও নতুন গাড়ি কিনবেন না:" একগুচ্ছ নির্দেশ তেজস্বী যাদবের
এত বছর ধরে তদন্ত চললেও কোনও বিধিনিষেধ মানেনি খাদান কর্তৃপক্ষ কিংবা ক্র্যাশারের মালিকরা। এতদিন বীরভূমের ক্র্যাশার থেকে আরম্ভ করে খাদান চলছিল রাজনৈতিক 'দাদা' কেষ্টদার মদতে। আর তা পরিচালনা করতেন টুলু মন্ডল নিজেই। লকডাউনের সময় বেশ কিছু খাদান বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আদিবাসী গাঁওতাদের খাদান এবং ক্র্যাশার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও বন্ধ করতে পারেনি কেউ।
আরও পড়ুন- দুই দল-দুই ফুল, স্লোগান এক! তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার বিজেপির মুখেও 'খেলা হবে'
ক্র্যাশার অঞ্চলগুলোতে ধুলোবালিতে বাতাস ভারী হয়ে থাকে সবসময়। স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে খোঁজ পাওয়া যায় মানুষের পালমোনারি অ্যালার্জি এবং সিলিকোসিস রোগে ভোগার খবর। অবশেষে, গতকাল বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় ক্র্যাশার ও খাদান মালিকদের ডেকে নির্দেশ দিয়েছেন, নিয়ম মেনে বৈধ কাগজপত্র বানিয়ে ব্যবসা চালাতে। যদি কারও কাগজপত্র ঠিক না থাকে।পরিবেশ দপ্তরের ছাড় না থাকে, তাহলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ থাকবে। তাই রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।হঠাৎই কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন শ্রমিকরা।