শুধু তাই নয়, শ্রাবণের সোমবার কিংবা গোটা শ্রাবণ মাসেই চলে জল ঢালা উৎসব। রাজ রাজাদের ইতিহাস এবং বহু পুরাণ কাহিনী নিয়ে টিকে রয়েছে এই মন্দির। বাংলার আনাচে কানাচে রয়েছে নানা পুরাতত্ত্ব ও ইতিহাস। মনে করা হয়, মেদিনীপুর জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে রয়েছে প্রস্রবণ। যেখানে নাকি পুকুরের জলে ভুড়ভুড়, আর এর থেকেই নাম হয় ভুড়ভুড়ি। মনে করা হয়, প্রায় ৭০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এই শিবের মন্দির কেদার ভুড়ভুড়ি। নেপথ্যে রয়েছে নানা কাহিনি।
advertisement
প্রাচীন ইতিহাস ঘিরে রয়েছে নানা কিংবদন্তি।এমন এক প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী ও নিদর্শন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার কেদার ভুড়ভুড়ি ও চপলেশ্বর জিউর মন্দির। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রাচীন এই মন্দিরে জড়িয়ে রয়েছে সোলাঙ্কিদের ইতিহাস ও বহু প্রাচীন কাহিনী । তবে সাধারণ ভক্তদের মনস্কামনা পূরণের আশায় সারা বছরের পাশাপাশি শ্রাবণ মাসে বেশ ভিড় জমান এই মন্দিরে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে পুকুর। বর্ষাকালে আজও ভুড়ভুড় করে জল উঠতে দেখা যায়। আর সেই বিশ্বাস নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে।
মাত্র এক মাসের কয়েকটি দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম এই মন্দিরে। কেদার কুন্ডু কিংবা কেদার ভুড়ভুড়িতে স্নান করে জল ঢালতে দেখা যায় প্রচুর ভক্তের। সেই সঙ্গে ওই কেদার ভুড়ভুড়ি থেকে জল তুলে নিয়ে অন্যান্য শিবালয় মন্দিরে উদ্দেশ্যে জল নিয়ে যায় ভক্তরা। বিশ্বাস ও ভরসায় বহু প্রাচীন সময়ে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির বয়ে চলেছে নিজস্ব ইতিহাস। যা সময়ের সঙ্গে নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।