সমীর রুদ্র, নদিয়া: যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই অপরাধ জগতের হাতেখড়ি কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেশরাজ সিং-এর। কৃষ্ণনগরের ছাত্রীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনে অভিযুক্ত উত্তর প্রদেশের যুবক। যোগী রাজ্যেই অপরাধ জগতের হাতেখড়ি অভিযুক্ত দেশরাজ সিং-এর। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, যুবকের পরিবারের সদস্যদের হাত ধরেই অপরাধ জগতে পদার্পণ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্ত দেশরাজ সিং-এর বাবা রঘুবিন্দ প্রতাপ সিং বিএসএফ-এ কর্মরত। কিন্তু তার (রঘুবিন্দ প্রতাপ সিং) জ্যাঠতুতো দুই ভাই দঙ্গল সিং ও মঙ্গল সিং দেওরিয়া এলাকার রাউডি অর্থাৎ কুখ্যাত দুষ্কৃতী।
advertisement
উত্তরপ্রদেশে যে বাহুবলী কালচার চলে সেই কালচারে অভ্যস্ত তারা। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। কয়েকদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তারা। এমনকি দেশরাজ বাড়ি ফিরলেই তার এক ভাই নিতীন প্রতাপ সিং-এর সঙ্গে দেওরিয়া এলাকায় মস্তানি করত বলেও অভিযোগ।
পরিবার থেকেই মস্তানি ও দাদাগিরির শিক্ষা পাওয়ায় কাঁচড়াপাড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় সেখানেও সহপাঠীদের মারধর করত। সেই কারণেই তাকে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর এলাকার সমাজ বিরোধীদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে। তাদের কাছে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত পরিকল্পনা করে খুনের পর যোগী রাজ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে সে। সেখানে তার পারিবারিক প্রভাব থাকাতেই তাকে খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। দেশরাজের দাদু প্রতিবেশীকে জমি জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর তাদের কারাগারে বন্দী করা হয়। ছয় দিন আগেই তারা মুক্তি পেয়েছে। তাদের আশ্রয়েই দেশরাজ আছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। দেশরাজের বাবা রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং-এর কাঁচড়াপাড়ায় এনডিআরএফ-এ পোস্টিং হয়েছিল। সেই কারণে তারা কাঁচড়াপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। দেশরাজ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সেখানেই পড়ত ঈশিতা।