ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ঈশিতার মাথায় তিনটি গুলির আঘাত মিলেছে৷ মাথার ডান দিকে দুটি এবং মাথার পিছন দিকে গুলির আঘাত পাওয়া গিয়েছে৷ ১৯ বছর বয়সি কলেজ ছাত্রীর মাথার ভিতর থেকে একটি বুলেটও উদ্ধার হয়েছে ময়নাতদন্তের সময়৷ এ দিন দুপুরেই ময়নাতদন্তের পর ঈশিতার মৃতদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
advertisement
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর চব্বিশ ঘণ্টার বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনও অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের খোঁজ পায়নি পুলিশ৷ অভিযুক্তের খোঁজে উত্তর প্রদেশেও রওনা দিয়েছে পুলিশের একটি দল৷
পুলিশ ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, ২০২২ সালে নিজের সহপাঠীকে মারধরের ঘটনায় দেশরাজকে কাঁচরাপাড়ার স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল৷ কাঁচরাপাড়ায় ঈশিতারও সহপাঠী ছিল এই দেশরাজ৷ সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে ঈশিতার ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল৷ কিন্তু ঈশিতা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করার পরই ওই ছাত্রীকে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার৷ এর পর থেকেই দু জনের মধ্যে যোগাযোগ কমতে থাকে৷