কৃষ্ণনগর কাণ্ডে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ জানতে পেরেছে, আসানসোল হয়ে সোমবার রাতেই ট্রেন ধরে সম্ভবত উত্তর প্রদেশেই রওনা হয়ে গিয়েছে দেশরাজ৷
দেশরাজের বাবা বিএসএফ-এ চাকরি করেন৷ কর্মসূত্রে তিনি রয়েছেন রাজস্থানে৷ বাবাকে বলে ঈশিতাকে খুনের আগের দিনের ট্রেনের টিকিটও কাটিয়েছিল দেশরাজ৷ যাতে পুলিশকে বিভ্রান্ত করা যায়৷
গত সোমবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে ঢুকে গুলি করে ঈশিতা মল্লিক নামে ওই কলেজ ছাত্রীকে খুন করে দেশরাজ সিং নামে কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক৷ কাঁচরাপাড়ায় স্কুলে পড়ার সময় ঈশিতার সঙ্গে দেশরাজের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়৷ কিন্তু গত প্রায় এক বছরের মধ্যে দু জনের মধ্যে যোগাযোগ কমে এসেছিল৷ তবে গোপনে দেশরাজের সঙ্গে ঈশিতার যোগাযোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
advertisement
দেশরাজ যে ঈশিতাকেই বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল, ওই যুবকের বাবার থেকেই তা জানতে পেরেছে পুলিশ৷ দেশরাজকে তার বাবা জানিয়েছিলেন, নিজের পায়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলেই তবেই তিনি ঈশিতার সঙ্গে তার বিয়ের ব্যবস্থা করবেন৷ মাত্র মাসখানেক আগে যাঁকে বিয়ে করার জন্য আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল, সেই ঈশিতাকেই কেন দেশরাজ নৃশংস ভাবে খুন করল, তা ভেবে অবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরাও৷ ফলে ঈশিতার জীবনে অন্য কারও আবির্ভাব হয়েছিল কি না এবং সেই খবর পেয়েই দেশরাজ তাকে সরিয়ে দিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ যে কোনও মূল্যে এখন দেশরাজকে গ্রেফতার করতে মরিয়া পুলিশ৷