পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ঈশিতা ২০২৩ সালে কাঁচড়াপাড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে৷ স্কুলে পড়াশোনার সময় কাঁচরাপাড়াতেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেই ঈশিতা৷ তখনই দেশরাজের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর৷ দু জনের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা৷ দেশরাজের পরিবার আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা৷
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর কৃষ্ণনগরে ফিরে আসে ঈশিতা৷ তার পর থেকেই ধীরে ধীরে দেশরাজের সঙ্গে যোগাযোগ কমতে থাকে তাঁর৷ কয়েকদিন আগেই ভুবনেশ্বর ল কলেজে ভর্তি হন ঈশিতা৷ আজই তাঁর ভুবনেশ্বর রওনা হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু ঈশিতার বাবা তাঁকে আগামিকাল রওনা দিতে বলেন৷
advertisement
এ দিন বেলা দুটো নাগাদ কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় ঈশিতাদের বাড়ির সামনে হাজির হয় দেশরাজ৷ এর পর সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে গুলি করে ঈশিতাকে খুন করে সে৷
সেই সময় ঈশিতার ভাইকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন তাঁর মা কুসুম মল্লিক। নীচের ঘরে ছিলেন ঈশিতা দাদু। তাঁরা বাড়ি ফিরে সিঁড়ি বেয়ে দোতলার বারান্দায় পৌঁছতেই ওই যুবককে দেখতে পান। সে কেন এখানে এসেছে জিজ্ঞাসা করতেই ঈশিতার মা কে লক্ষ্য করে দু রাউন্ড গুলি চালায় দেশরাজ। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ওই যুবক পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানতে পেরেছে, কাঁচরাপাড়ার মাঝিপাড়া পলাশি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মপুরের বাসিন্দা ছিল দেশরাজ। মা এবং বোনের সঙ্গে সেখানেই ভাড়া বাড়িতে থাকত সে৷ যদিও সেই বাড়িতে গিয়েও এ দিন কাউকে পায়নি পুলিশ৷ বাড়ির দরজার তালা বন্ধ ছিল৷ বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷
সহ প্রতিবেদন- রঞ্জিৎ সরকার