সরকারি বাস চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হলেও এদিনও সেভাবে বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। বর্ধমানের নবাবহাটের উত্তরা বাস স্ট্যান্ড ও আলিশার পূর্বাশা বাস স্ট্যান্ডে বহু বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। হাতেগোনা দু'একটি বাস রাস্তায় নেমেছিল। সেইসব বাসের চালকরা বলছেন, রাস্তায় একেবারেই যাত্রীদের দেখা মিলছে না। হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম, চালক ও কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ সামলে যাত্রীদের কাছ থেকে যে ভাড়া মিলছে তা সামান্যই। স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলেনি। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের জেলা সদর বা অন্যত্র যাওয়ার প্রবণতা এখনও সেভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই বাসে যাত্রী হচ্ছে না। সে কারণেই লোকসান হবে বুঝেই অনেক বেসরকারি বাসের মালিকরা রাস্তায় বাস নামাতে চাইছেন না। তবে বর্ধমানের দুটি বাস স্ট্যান্ড, কালনা বাস স্ট্যান্ড বা মেমারি বাস স্ট্যান্ড থেকে দু-একটি করে বাস চলাচল করছে। ধীরে ধীরে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
জেলার বাসিন্দারা বলছেন, বেসরকারি বাস না চলায় অনেককেই নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অনেককেই চিকিৎসার জন্য জেলা সদর বর্ধমান বা কালনা কাটোয়া মহকুমা শহরগুলিতে যেতে হচ্ছে। বাস না পাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়ছেন তাঁরা। অনেক বেশি টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করে রোগীদের নিয়ে যেতে হচ্ছে। বাস না মেলায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন সরকারি কর্মীরা। সোমবার থেকেই সরকারি সব অফিস খুলে গিয়েছে। অথচ বেসরকারি বাস চলাচল সেভাবে শুরু না হওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।
Saradindu Ghosh