তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধি। সেবার বর্ধমান টাউন হলে গান্ধিজি সভা করতে এসেছিলেন। প্রিয় নেতাকে একবার চোখের দেখা দেখতে এবং গান্ধিজির কথা শুনতে সেদিন পঞ্চাশ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়েছিল এক কিশোর। সেই শুরু। তারপর আর থামেননি। স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়েছেন বুক চিতিয়ে। স্বাধীনতার পরে সাংসদ-বিধায়ক-মন্ত্রী হিসেবেও সারা জীবন মানুষের জন্যই কাজ করে গেছেন। আজও তাই তিনি দলমত নির্বিশেষে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। তিনি বর্ধমানের আবদুস সাত্তার।
advertisement
জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণকেই সবসময় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তখন তাঁর এলাকায় ডাক্তার মেলা ছিল কঠিন। তাই নিজের কাছেই ওষুধপত্র রাখতেন। যাতে প্রাথমিক চিকিৎসাটা করা যায়। রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসেও তিনি এক উজ্জ্বল নাম।
সামনেই লোকসভা ভোট। এ রাজ্য থেকে ৪২ জন প্রতিনিধি যাবেন সংসদে। তাঁরা যে দলেরই হোন, তাঁদের সকলকে পথ দেখাতে পারেন আবদুস সাত্তার। তিনি নেই। কিন্তু, তাঁর কাজ, তাঁর জীবনযাপন আজও আলোকিত করে।