খড়গপুরের সভামঞ্চ থেকে তিনি এদিন বলেন, "বিজেপি জনসঙ্ঘের ছায়ায় তৈরি, যার প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাই সেই অর্থে বিজেপিই বাংলার দল। বাংলায় বিজেপি শাসন শুরু করার জন্যই মোদির এই মন্তব্য নতুন কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ তাঁদের দিকে বার বার বহিরাগত তকমা উঠেছে।
এদিন বার বার তৃণমূল সর্বভারতীয় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও আক্রমণ করেছেন তিনি। রীতিমতো কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলছেন, দিদির দল নির্মমতার পাঠশালা। তোলাবাজির পাঠশালা। দিদির সিলেবাস হচ্ছে কাটমানি। বিজেপিই বাংলায় উন্নয়ন করতে পারবে এই। এমনকি এদিন এই আশ্বাসও মোদি দেন যে, ক্ষমতায় এলে ৭০ বছরের ক্ষতি পূরণ করবে বিজেপি সরকার। পাঁচ বছর সুযোগ দিলে কৃষি ও ছোট শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
advertisement
গতকাল রাতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ডাউন হয়ে যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনেও মমতাকে তোপ দাগেন তিনি। মমতাকে বিঁধে তিনি বলছেন, "উন্নয়ন 'ডাউন' হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।" তাঁর কথায়, "মাত্র পঞ্চাশ মিনিটের জন্য হোয়াটস্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই অস্থির হয়ে পড়েছেন। আর বাংলায় তো পঞ্চাশ বছর ধরে ডাউন হয়ে আছে বিকাশ ও উন্নয়ন।"
প্রসঙ্গত এদিন সভার শুরুতেই বাংলার মাটি মাহাত্মকে স্মরণ করে ভাষণের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। তিনি বলেন, মাতঙ্গিনী হাজরা, দেবী চৌধুরানী মা সারদা, রানী রাসমণি দেবীর মতো মানুষ ধন্য করেছেন এই বাংলার মাটিকে। নারী জাতির আদর্শ গড়ে তুলেছেন। কিন্তু আজ সেই মাটিতেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে উন্নয়ন।