কোন জমিতে নাইট্রোজেন, পটাশ ও ফসফেটের মাত্রা কত, জমিতে কী ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে, ঠিক কী ধরনের কীটনাশক ও আগাছানাশক প্রয়োগ করতে হবে, জল কতটা লাগবে সবকিছুরই হদিশ দেবে এই যন্ত্র। প্রচলিত পদ্ধতিতে কৃষকরা তাঁদের মাটির নমুনা নিকটবর্তী মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে নিয়ে যেতেন এবং সেই পরীক্ষার ফলাফল আসতেও সময় লাগত। পাশাপাশি সেই ফলাফলের ভিত্তিতে মানচিত্র তৈরি ছিল আরও কষ্টকর কাজ।
advertisement
কিন্তু এই যন্ত্র তৎক্ষণাৎ মাটির নমুনা পরীক্ষা করে রিয়েল টাইম তথ্য দিয়ে ম্যাপ তৈরি করবে। এই প্রসঙ্গে ড: ভি কে তিওয়ারি জানান, " আমরা প্রথমে এক হেক্টর জমিকে পুষ্টিগত মূল্যের বিচারে ৩৬ টি গ্রিডে বিভক্ত করেছি। তারপর সার প্রদানকারী যন্ত্রাংশের সাথে DGPS মডিউল এবং GUI সংযুক্ত মাইক্রোপ্রসেসর ও মাইক্রোকন্ট্রোলালের মাধ্যমে কোন গ্রিডে কতোটা সার লাগবে তা সহজেই নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি।" সাধারণভাবে ট্রাক্টরের সাথে যুক্ত থাকবে এটি। উদ্ভাবকদের মতে, তাঁদের তৈরি যন্ত্র জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। যে কারণে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে জমি বন্ধ্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমবে।
SHANKAR RAI