কিন্তু এই ঘটনার পরে ওই তৃণমূল নেত্রীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি৷ উল্টে প্রতিবাদী ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন অভিযুক্ত নেত্রীর এক সঙ্গী৷
শেষ পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার না করায় এবার ন্যায়বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন খড়্গপুরের ওই আক্রান্ত বৃদ্ধ অনিল দাস৷ পাশাপাশি ওই মহিলানেত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছএন তাঁর স্ত্রীও৷
advertisement
অনিল দাস নামে ওই বৃদ্ধ বলেন, ‘প্রশাসনের মদত ছাডা় দিনে দুপুরে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো যায় না৷ ৪৫ বছরের বেশি রাজনীতি করছি৷ খড়্গপুরে কোনওদিন কোনও রাজনৈতিক নেতাকে এভাবে হেনস্থা হতে দেখিনি৷ হাইকোর্টে আমি আবেদন করে বলেছি, সেদিন আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছিল৷ ওরা ভোজালি আনার কথা বলছিল, আমার টাকাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়৷ আমি কোনওক্রমে রংয়ের দোকানে ঢুকে পড়ে প্রাণ বাঁচাই৷ আশা করি, হাইকোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পাবো৷’
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত তৃণমূলনেত্রীর হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্ত ওই বৃদ্ধ৷ বেবি কোলে এবং তাঁর সঙ্গীদের তোলা অভিযোগও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি৷ আদালতে সব প্রমাণ হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন অনিল দাস৷
অনিলবাবুর দাবি, ওই তৃণমূল নেত্রী স্থানীয় এক মহিলার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে শৌচাগার বন্ধ করে দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী৷ তারই প্রতিবাদে ওই মহিলাকে নিয়ে থানায় গিয়ে বেবি কোলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করান তিনি৷ সেই রাগ থেকেই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ৷