TRENDING:

Ketugram Crime: শেষরক্ষা হল না, কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কেটে পালানোর ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শের মহম্মদ

Last Updated:

কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কেটে পালিয়েছিল, তবে শেষরক্ষা হল না, গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত তথা রেণুর স্বামী শের মহম্মদ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কেতুগ্রাম: স্ত্রী রেণু খাতুনের কব্জি কাটার ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত তথা রেণুর স্বামী শের মহম্মদ। মঙ্গলবার তাঁকে জেলার প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। শনিবার রাতে স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নেয়  কোজলসার বাসিন্দা শের মহম্মদ। রাণু নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন আর তাতেই নাকি শের মহম্মদ 'নিরাপত্তাহীনতা'য় ভুগছিল। স্ত্রী ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই নাকি এহেন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত!
advertisement

ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল শেখ মহম্মদ। মঙ্গলবার কেতুগ্রাম থানার পুলিশ পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। আজ ভোরে পুলিশ শের মহম্মদের বাবা সিরাজ শেখ ও মা মেহেরনিকা বিবিকে  চাকটা বাসস্ট্যাণ্ডের কাছ থেকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোরে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শের মহম্মদের হদিস জানার চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত।

advertisement

বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন রেণু খাতুন। তাঁর ডান হাতের কব্জি সম্পূর্ণ বাদ গিয়েছে। জীবন যুদ্ধে হার না মানা নার্সিং স্টাফ রেণুর শুরু হল ঘুরে দাড়ানোর লড়াই। স্বামীর নৃশংসতায়  শনিবার কাটা গিয়েছে ডান হাতের কব্জি। তাতে কী? মঙ্গলবার থেকে বাঁ হাত দিয়েই শুরু হল দুর্গাপুরের হাসপাতাল থেকে লেখা। তাঁর ইচ্ছা, সে সরকারি নার্সিংয়ের চাকরি করবেই। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে রেণুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। রেণুর পাশে দাঁড়িয়েছেন সহকর্মীরা। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন রেণুর সহকর্মী এবং পরিবার-পরিজনেরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

প্রসঙ্গত, রেণু খাতুন অভিযোগ আনেন, শনিবার রাতে কেতুগ্রামের বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয় স্বামী শের মহম্মদ। প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে রেণুর ডান হাত থেঁতলে ফেলা হয়, তার পরে টিন কাটার কাঁচি দিয়ে তাঁর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়া হয় বলে শের মহম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় শের মহম্মদের দু’তিন জন বন্ধুবান্ধবও উপস্থিত ছিলেন বলেও দাবি রেণুর পরিবারের। রেণুর মা-বাবার দাবি, সরকারি হাসপাতালে নার্সে চাকরি পাওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে শের মহম্মদ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Ketugram Crime: শেষরক্ষা হল না, কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কেটে পালানোর ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শের মহম্মদ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল