তবে প্রাচীন মন্দিরটি আজ আর নেই। নানান পৌরানিক কাহিনি রয়েছে এই মন্দিরকে ঘিরে। পূর্ববঙ্গের নাটরের রানি ভবানী সংস্কার করে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। কোন মূর্তি বা অবয়ব ছাড়াই মা কিরীটেশ্বরী এই মন্দিরে পূজিত হন। শুধুমাত্র একটি লাল শিলাকে মায়ের প্রতিরূপ হিসেবে ধরেই চলে পুজো পাঠ। মন্দিরের স্থাপত্যে রয়েছে হিন্দু, ইসলামীয় ও বৌদ্ধতন্ত্রের অপূর্ব মেলবন্ধন। দেশের মধ্যে সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নবগ্রামের এই কিরীটেশ্বরী গ্রাম। আর তারপর থেকে আরও বেড়েছে দর্শনার্থীদের আগমণ।
advertisement
আরও পড়ুন: জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বাধা কাটল সুপ্রিম কোর্টে, কাটল OBC জট! হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ
প্রতি বছরের মতো এই বছরও কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ তিথিতে দর্শনার্থীদের সমাগম লক্ষ্য করা যায় মন্দিরে। ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সারাদিন ব্যাপী মন্দিরে পুজো চললেও রাতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মন্দিরের বাইরেও অনেকে হোমযজ্ঞ করেন। প্রায় ৬-৭হাজার ভক্তদের ভোগ বিতরণ করা হয় এইদিনের পুজোতে। তবে সেবাইতদের কথায় প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যায় আরও অনেক ভক্তের সমাগম ঘটে মন্দিরে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এবার ভক্তদের সংখ্যা অনেকটাই কম।
আজ ২২ অগাস্ট, শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে বলে বিশ্বাস ভক্তদের। তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্তদের কাছে এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেবী পার্বতী অশুভ শক্তি বিনাশের উদ্দেশ্যে নিজের দেহকোষ থেকে ভয়ঙ্কর এক দেবীর সৃষ্টি করেন। তিনিই দেবী কৌশিকী নামে পরিচিত। ভাদ্র মাসের অমাবস্যা তিথি কৌশিকী অমাবস্যা নামে খ্যাত।