বনকাপাসির আকাশে কাপাস তুলোর মত সাদা মেঘ। কাটোয়ার শান্ত জনপদ বনকাপাসির আরেক নাম শোলাগ্রাম। আড়াই হাজার মানুষের বেশিরভাগই শোলা শিল্পী। পুজোর মুখে দম ফেলার সময় নেই। প্রতিমার বেনারসি, মুকুট, গলার হার, বাজুবন্ধ, বাহারি পোশাক-সহ হরেকরকমের সোলার কাজ করছেন শিল্পীরা। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুজোয় শোলাগ্রামের শোলার কাজের চাহিদা ব্যাপক। বনকাপাসির শোলা পৌঁছেছে মুম্বই, অন্ধপ্রদেশ, বিশাখাপত্তনমের দুর্গাপুজোতেও। শিল্পীরা বলছেন, এবার শোলার চাহিদা অনুযায়ী জোগান কম।
advertisement
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এই গ্রামের শোলা শিল্প পরিচিতি পায়। সেই সময় গ্রামের মহিলারা শোলার কাজে হাত লাগাতেন না। পরে সেসব আগল ভেঙেছে। আগে পুজো উদ্যোক্তারা পছন্দ করতেন সাদা শোলার কাজ। এখন অবশ্য রঙিন শোলার কাজও জনপ্রিয়। শিল্পীদের চিন্তা, কাঁচামালের অভাবে শোলার সাজ কি হারিয়ে যাবে?
সাত দশক আগে বনকাপাসি গ্রামের এক মালাকার পরিবার শোলার কাজকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি দেন। শোনা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি থেকে ডাকের সাজ আসা বন্ধ হয়েছিল। তখন শোলা কেটে কলকা, চুমকি দিয়ে প্রতিমার সাজ তৈরি হয়। তারপর ক্রমে বনকাপাসি আঁকতে থাকে শোলাগ্রামের ছবি।