সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিন দিন আগে এ রাজ্যে আসে জাভেদ মুন্সি। কাশ্মীরে কয়েকজন আটক হতেই জাভেদ সম্পর্কে তথ্য সামনে আসে। হুরিয়ত সংঘবগ্ধ করতে জাভেদ মুন্সির নেতৃত্বে শুরু হয় সক্রিয়তা। শহিদগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়।
advertisement
লস্কর-ই-তৈবা শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ মতো বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা এবং সংগঠন তৈরির উদ্দেশ্যে নিয়েই জাভেদকে পাঠানো হয়েছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পরিকল্পনা ছিল ক্যানিং হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া। আইইডি এক্সপার্ট জাভেদ ২০১১ সালে আল হাদিদ চিফ খুনে মূলচক্রী। একাধিক বার জেল খেটেছে। একাধিক বার বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানে গিয়েছে ধৃত। সম্প্রতি হুরিয়ত প্রতিষ্ঠা করতে জাভেদ কাজ শুরু করে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাতেও ছিল ধৃত। জেলা পুলিশের সহায়তায় কাশ্মীর পুলিশের হাতে অবশেষে ধৃত জঙ্গি। জম্বু কাশ্মীর পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (বেঙ্গল এসটিএফ) অভিযানের গতকাল ক্যানিং হাসপাতাল মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় জাভেদ মুন্সিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে আদালতে পেশ করা হবে। সেখানে ট্রানজিট রিমান্ড-এর আবেদন জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে তাকে নিয়ে যাবেন পুলিশ সূত্রে খবর।
তবে, এই প্রথম নয়, এর আগেও এ রাজ্যে এসেছে জাভেদ। ২০২২ সালে কলকাতায় এসেছিলেন জাভেদ। বেশ কিছু দিন কলকাতাতেও ছিল। কি কারণে এসেছিলেন? কার সঙ্গে দেখা করে কি না খোঁজ নিচ্ছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ জানতে পেরেছে ধৃত জাভেদের দুই আত্মীয় ৮-১০ বছর ধরে এ রাজ্যে আসছেন। শীতকালে আসেন তারা শাল বিক্রি করতে। সেই সূত্র ধরেই কি জাভেদ ২০২২ সালে এসেছিলেন না কি সংগঠনের কোনও কাজে এসেছিলেন? খোঁজ করা হচ্ছে। কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন কি না খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।