এ দিন শ্রীরামপুরে গিয়ে বাইক মিছিল করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত৷ তৃণমূল সাংসদকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুকান্ত বলেন, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের দম্ভ চূর্ণ করে যাঁরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের কুর্নিশ। একটাই বার্তা, আজ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের মতো ছুঁচোদের ভয় পাবেন না, এদের মাড়িয়ে যেতে হয়। কল্যাণ কল্যাণ ডাক পারি, কল্যাণ গেল কার বাড়ি। আয় কল্যাণ দেখে যা বিজেপির ক্ষমতা ৷ কুকুর মুগুড়ে ভক্ত।
advertisement
বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আজ কর্মীরা ঝান্ডা ডান্ডা দুই-ই এনেছে । রাস্তার চারদিকে দেখতে দেখতে আসছিলাম কোথায় কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বন্দুক নিয়ে দাড়িয়ে। ময়দানে নেই আজ কেও । সারাজীবন আমরা মাঠে ঘাটে থেকেছি। ফাঁকা কলসি কোর্টে বাজে বেশি।’ সুকান্ত মজুমদার আরও দাবি করেছেন, এসআইআর বাংলায় হবেই৷ তৃণমূল নেতারা এসআইআর নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন৷
বিজেপি নেতাকে জবাব দিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদও৷ কল্যাণ বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার বলেছিল এসআইআর নিয়ে প্রতিবাদ করলে গুলি করে মারব। একটা গুলি করুক, ওকে ঘরে ফিরে যেতে হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গুলি করুক দেখুক। আমি ওর মতো ক্ষ্যাপা শেয়ালের পিছনে ঘুরে বেড়াই না। আমাকে খুঁজলে ওভাবে পাবে না। ওর কাজ নেই। ও ৪২০ বেকার ছেলে। কাল তো আমার সাথে বিমানে দেখা হল ওর। তখন বলতে পারত ও আসবে। আমি ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করিনা। মোদি না থাকলে কুকুর বিড়াল এদের নিয়ে চলে যাবে।’
এখানেই না থেমে কল্যাণ বলেন, ‘কল্যাণের ক্ষমতা ওরা আগে দেখেছে। শ্রীরামপুরে নরেন্দ্র মোদি এসেও কিছু করতে পারেন না। ওরকম সুকান্ত আমার পায়ের তলায় থাকে। হিম্মত থাকলে আসুক শ্রীরামপুরে। ফু দিয়ে উড়িয়ে দেব। এক বাপের ব্যাটা হলে সিআইএসএফ দিয়ে গুলি করত। ওরা হিংসার রাজনীতি ছাড়া কিছু করে না। তুই ডান্ডা নিয়ে আয়। দেখিয়ে দেব ডান্ডা দিয়ে কী করতে হয়? একটা হরিদাস লোক।’
সহ প্রতিবেদন- সুস্মিতা মণ্ডল