ভোটের ফল বেরোতেই অবশ্য ছবিটা বদলে যায়৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া রাজীব ফিরে আসেন পুরনো দলে৷ যদিও রাজীবকে ত্রিপুরারই দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিল দল৷ কিন্তু রাজীবের প্রত্যাবর্তন নিয়ে যে এখনও তাঁর আপত্তি রয়েছে, দলীয় সভাতেই তা স্পষ্ট করে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ৷
আরও পড়ুন: আপাতত দিল্লিই ঘর বাড়ি! বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী ইডি-র, ঘুম উড়ে যাবে কেষ্টর?
advertisement
হাওড়া জেলার মধ্যে পড়লেও ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রটি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুরের অন্তর্গত৷ বিধানসভা ভোটের আগে তাই কল্যাণের প্রেস্টিজ ইস্যু ছিল ডোমজুড়৷ রবিবার ডোমজুড়ে দলের হাওড়া জেলা সদর যুব তৃণমূল কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন কল্যাণ৷ সেই সভা থেকেই নাম না করে রাজীবকে 'গদ্দার' বলে কটাক্ষ করেন কল্যাণ৷
নাম না করে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীবকে তোপ দেগে কল্যাণ বলেন, 'ডোমজুড়ের মাটিতে গদ্দারকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। এখন ফিরে এসে বলছে আমায় একটু জায়গা দাও মা মন্দিরে বসি।' রবিবারের এই সভা থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা যাতে প্রার্থীও খুঁজে না পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন তৃণমূল সাংসদ৷
ডোমজুড়ের এই সভায় অবশ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও উপস্থিত ছিলেন৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটাক্ষের বিষয়ে কার্যত কল্যাণেরই পাশে দাঁড়ান তিনি৷ বরং তিনিও রাজীবকেই ঘুরিয়ে ব্যঙ্গ করেন৷ কুণাল বলেন, 'ভোটের আগে গেলো গেলো। চাটার্ড প্লেনে গেলো। পরে বলছে অটো পাঠাও ফিরে যাবো। দু'-একটা নিদর্শন রাখতে হয়। যাবি কোথায়?' যদিও এ বিষয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷