ভোর হতে না হতেই হাজির হয়েছিলেন সকলেই। ছোটরা সেজেছিল বাসন্তী রঙের শাড়িতে। অশোক পলাশের মালা গলায়। কারও কারও চুলের খোঁপায় ফুলের বাহার। ছোটরা প্রভাত ফেরি করল রবীন্দ্রনাথের বসন্তের গানে। তাদের পেছনে সার দিয়ে হাঁটলেন বাসন্তী রঙের শাড়ির শয়ে শয়ে মহিলা। এক এক করে গঙ্গা তীরের মন্দির শহর কালনার সব রাস্তা পরিক্রমা করল বর্নময় পদযাত্রা। বসন্ত এসে গেছে সেই বার্তা তাঁরা ছড়িয়ে দিলেন সুরেলা কন্ঠে নৃত্যের মাধ্যমে।
advertisement
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল সাংস্কৃতিক সংস্থা উদিচী। তাঁদের কর্মকর্তারা বললেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শহরের সব এলাকার সব বয়সের বাসিন্দারা। আমরা তাঁদের একটি সূত্রে গেঁথেছি মাত্র। উদাচীর উদ্যোগেই রাত জেগে কালনা শহরের রাজপথে আঁকা হয়েছে রঙ্গোলি। দশটি মোড়ে আঁকা হয়েছে এই রঙিন আলপনা। এবার তারা প্রভাতফেরি সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কালনায় বসন্ত উৎসব পালন করল। তা দেখে শহরের বাসিন্দারা বলছেন, এতো বড় আকারে বসন্ত উৎসব আগে এ শহরে হয়নি। যেন একটা ছোট শান্তিনিকেতন উঠে এসেছে এ শহরে। সেইসঙ্গে সুস্থ সংস্কৃতির বার্তাও দিল কালনা শহর।
Saradindu Ghosh