ছাড়িগঙ্গায় এবার বেশ কয়েকটি প্রজাতির বিদেশি পাখি এসেছে। আরও বেশ কিছু পাখি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন করে কালনার ছাড়িগঙ্গায় পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করায় বিশেষ কৌতূহলী বনদফতর। দফতরের এক আধিকারিক জানান, কোন কোন ধরনের পাখি ছাড়িগঙ্গায় আসছে তা জানতে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই জেলার কোন কোন অঞ্চলে কি ধরনের পরিযায়ী পাখি আসছে তা জানতে প্রত্যেক বছর পাখি গণনা করা হয়ে থাকে। চুপির চরে সে সমীক্ষা হয়। এবার ছাড়িগঙ্গাতেও জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গণনা হবে। কী কারণে কোন ধরনের পাখিরা এখানে আসছে সমীক্ষার পর তার একটা আভাস পাওয়া যাবে।
advertisement
বন দফতরের কাটোয়া রেঞ্জের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিংহ জানান, " ছাড়িগঙ্গা জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি আসার ঘটনায় আমরা উৎসাহিত। এখানে পরিযায়ী পাখিদের আসা শুরু হতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পাখি গণনার নির্দেশ দিয়েছে। গণনার জন্য দিনও ঠিক হয়ে গিয়েছে। জলাশয়ে আসা পাখিদের নজরে রাখা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা এবং খাবারের অভাব না হয় তা দেখা হচ্ছে। কারণ নিরাপত্তা এবং খাবার যোগান ঠিক থাকলে পাখিরা সেই এলাকাকে বিশেষ পছন্দ করে। বার বার সেখানে আসতে চায়।"
আরও পড়ুন : শীতে ঘুরতে যাবেন হাজারদুয়ারি প্যালেসে? যাওয়ার আগে জেনে নিন নতুন নিয়ম
পক্ষীপ্রেমীরা মনে করছেন, চুপিj চরের কোলাহল পাখিদের নতুন ঠিকানা বেছে নিতে বাধ্য করছে। কারণ এই পাখিদের টানেই চুপিচর এখন জনপ্রিয় পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। শীত এলেই নৌকা করে পাখি দেখা, তাদের ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। অনেকেই সেইসব পাখিদের যতটা সম্ভব কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তাছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে ছবি তোলা হয়। এসব কারণে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে পাখিরা। আবার কোলাহল তাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার চুপির চরে কচুরিপানা কম রয়েছে। এসব কারণেই হয়তো চুপির চর ছেড়ে পরিযায়ী পাখিরা ছাড়িগঙ্গাকে নতুন ঠিকানা হিসেবে বেছে নিতে পছন্দ করছে।
চুপির চরের এতদিন যে সব পরিযায়ী পাখি আসত তারাই এখন ছাড়িগঙ্গায় আসছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবে বনদফতর। এজন্য চুপির চরের পাখির সংখ্যা ও ছাড়িগঙ্গার পাখির সংখ্যা মিলিয়ে দেখা হবে।