আজ থেকে ৩০ বছর আগে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের একজন এই মূর্তি তৈরি করেছিলেন সেখান থেকেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পরে আসানসোলের শ্রীপীঠম এ নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন থেকে এখানে মা কালীকে বিভিন্ন উপাচারে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করা হয়। এখনও বহু ভক্ত ভিড় করেন এই মন্দিরে। মন্দিরের সাধক অনির্বানন্দ গিরি মহারাজ বলেন “এখানে মায়ের চতুর্দশী পুজোর দিন সংস্কারিক পুজো হয়ে যাওয়ার পর অন্ন ভোগ, মিষ্টান্ন, মুরকি, বড়ো সাইজের কদমা বাতাসা, টানার নাড়ু দেশি চিনি ভোগ নিবেদন করা হয়। জাগ্রত মন্দির তাই এখানে মাগর ভক্তরা আসেন।
advertisement
আসানসোলের কালী পাহাড়ি ডিভিসি মোড় এলাকায় রয়েছে শ্রীপিঠম মন্দির। এখানে প্রায় ৩০ বছর থেকে নিষ্ঠা ও উপাচারের সঙ্গে নিত্য পুজো হয়। দীপান্বিতা অমাবস্যাতেও হয় বিশেষ পুজো। মা কালীকে এখানে বিমলা, কমলা রূপে পুজো করা হয়। মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে সব সময় জ্বালানো থাকে অখন্ড প্রদীপ ও অখন্ড ধুনী যা সব সময় জ্বলতে থাকে। ভূত চতুর্দশীর দিনে এখানে মা কালিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয় নিকটবর্তী নদীর একটি ফাঁকা স্থানে যেটি গ্রাম বাংলায় জোর নামে পরিচিত।
পাশাপাশি ওই দিন ১৪ রকমের অন্নর ভোগ দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন রাত্রিতে আট রকমের অন্নর ভোগ নিবেদন করা হয়। এখানে মা কালীকে তিনটি উপাচারে পুজো করা হয় শাক্ত, বৈষ্ণব ও পরমহংস। মন্দিরের সাধক অনির্বানন্দ গিরি মহারাজের গুরুদেবের দেওয়া মন্ত্র দিয়েই এখানে মায়ের পূজার্চ্চনা করা হয় কোনও পুঁথির মন্ত্র উচ্চারিত হয় না। স্বাভাবিকভাবেই জাগ্রত এই মন্দিরে দীপান্বিতা অমাবস্যার তিথিতে চাইলে আপনিও আসতে পারবেন।
রিন্টু পাঁজা