এরপর পরমানন্দ রায় তাঁর সাত ছেলের জন্য তৈরি করেন সাতটি আলাদা প্রাসাদসম বাড়ি। সেখান থেকেই এই জমিদারবাড়ির নাম হয় সাতমহলা বাড়ি। প্রায় ৩৭৫ থেকে ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে এই বাড়ির দুর্গাপুজো। রায় পরিবার আজও সাবেকি রীতি মেনে পুজো করেন। প্রতি বছর কৃষ্ণ নবমী থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজো। রাজবাড়ির বিশাল দুর্গাদালান, তিনদিক ঘেরা মণ্ডপ এবং শৈল্পিক স্থাপত্য এখনও যেন অতীত যুগের মহিমা মনে করিয়ে দেয়। বর্তমানে রায় পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫০, যাঁরা দেশের নানা প্রান্ত ও বিদেশ থেকে দুর্গাপুজোয় একত্রিত হন।
advertisement
রায় পরিবারের সদস্য মোহিতোষ রায় বলেন, ‘নতুনভাবে এই রাজবাড়ি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে রিপেয়ার করা হচ্ছে। এই কাজে সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দুর্গাপুজোয় পর্যটকরা ঘুরতে আসতে পারেন, তখন আমাদের দুর্গা দালান খোলাই থাকবে।’ কালিকাপুর সাতমহলা জমিদার বাড়ি টলিউড ও বলিউডের কাছে এক জনপ্রিয় শুটিং স্পট। বিখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেন তাঁর কালজয়ী ছবি খণ্ডহার এখানে শুট করেছিলেন। এছাড়াও একাধিক বাংলা এবং হিন্দি সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে এই রাজবাড়িতেই।
ঋতুপর্ণ ঘোষ , প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, কাজল, আবির-সহ অসংখ্য পরিচালক ও অভিনেতা অভিনেত্রী এই রাজবাড়িতে শ্যুটিং করেছেন। ইতিমধ্যেই এখানে প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকর দৃশ্যধারণ হয়েছে। প্রতি বছর দুর্গাপুজো শেষ হতেই এই রাজবাড়িতে শুরু হয় একের পর এক সিনেমার শ্যুটিং। এভাবেই ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিনোদনের অনন্য মেলবন্ধন ঘটেছে আউশগ্রামের এই কালিকাপুর সাতমহলা জমিদার বাড়িতে। তবে এবারে পুজোর আগে কিছুটা নতুনভাবে সেজে উঠছে এই রাজবাড়ি।