উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি, তাঁরা মুখোশ নাঁচ করেন। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসিয়া এবং অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুরে বাসিন্দারা এই মুখোশ নাঁচ করেন। ২০ থেকে ২৫ জন করে একটি দল তৈরি হয়।সঙ্গীত শিল্পী, ঢাক, বাঁশি এবং মুখোস শিল্পী নিয়ে এই দল তৈরি হয়।কালিয়াগঞ্জ ব্লক, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও কলকাতাতেও এই শিল্পীরা অনুষ্ঠান করেন। বছরে আয় হত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা । মাঝখানে বাঁধ সেধেছে করোনা। করোনা সংক্রমণের ফলে সমস্ত অনুষ্ঠান বন্ধ, ফলে মেলেনি ডাক!
advertisement
বর্তমানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পী ভাতা বাবদ মাসে ১ হাজার টাকা পাচ্ছেন মুখোশ শিল্পীরা। এই স্বল্প টাকা দিয়ে সংসার না চলায় বাধ্য হয়ে দিন মজুরের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজের শুভ সূচনা। সেই অনুষ্ঠান গুলিতে সরকার এই মুখোশ শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানোর নির্দেশ দিয়েছে । এই সরকারি নির্দেশের পরই মুখোশ শিল্পীরা অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রতি অনুষ্ঠানের জন্য শিল্পীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার টাকা।
কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপন দেবসিংহ জানিয়েছেন, করোনা আবহের রেশ কিছুটা কেটেছে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কালিয়াগঞ্জ ব্লকে পথশ্রী প্রকল্প কর্মসূচীতে মুখোশ শিল্পীদের আমন্ত্রন করা হচ্ছে।এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখোশ শিল্পীরা আর্থিক দিক থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।
Uttam Paul