উদ্যোক্তাদের মতে, প্রকৃতি ও বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবীতে জীবন কল্পনা করা যায় না। বৃক্ষ আমাদের খাদ্য, বায়ু, আশ্রয় ও জীবনের মূল উৎস। সেই ভাবনা থেকেই মা কালিকে বৃক্ষরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যাতে মানুষ বুঝতে পারেন দেবী যেমন ধ্বংসের প্রতীক, তেমনই তিনি সৃষ্টিরও উৎস। মা কালি মানে কেবল রুদ্র রূপ নয়, তিনি প্রকৃতির জীবনদায়িনী শক্তির প্রতীক। বৃক্ষের মতোই তিনি জীবন দেন, আশ্রয় দেন, সুরক্ষা দেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বোলপুর ঘুরতে এসে ঘুরে দেখেন নি ‘এই’ জায়গা! কত বড় ভুলটাই না করেছেন, বৃথা আপনার বোলপুর-শান্তিনিকেতন ট্যুর
উদ্যোক্তাদের অন্যতম শান্তনু বেরা বলেন, প্রকৃতির কোলে মানুষ আসলে এক শিশু। সেই ভাবনা থেকেই এবারের থিম ‘বৃক্ষের কোলে জীবন দোলে’। আমরা চাই, মা কালী রূপে বৃক্ষমাতা যেন মানুষকে সচেতন করেন প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে।
এবারের প্রতিমা নির্মাণেও থাকছে সেই ভাবনার প্রতিফলন। প্রতিমার চারপাশে থাকবে নানা প্রজাতির গাছ, ফুল ও সবুজ পাতা। মণ্ডপ সাজানো হবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান বাঁশ, খড়, মাটি ও শুকনো পাতা দিয়ে। আলোকসজ্জায় থাকবে প্রকৃতির প্রতীকী প্রকাশ। যেন আলো আর ছায়ার খেলায় ফুটে ওঠে বৃক্ষের প্রাণচক্র। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন দর্শনার্থীরা এই থিম থেকে অনুপ্রাণিত হোন, পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
এই থিমের মূল ভাবনা, মানুষ যেন নিজের অস্তিত্বকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম মনে করে। প্রকৃতি ছাড়া মানুষ অসম্পূর্ণ। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার দৌড়ে আমরা নিজেরাই প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি। মা কালি বৃক্ষমাতা রূপে যেন আমাদের সেই ভুলে যাওয়া সম্পর্কের কথা আবার মনে করিয়ে দেন। প্রকৃতির কোলে যে জীবন দোলে, সেই জীবনই সত্যিকার টিকে থাকার আশ্রয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারের মণ্ডপে কোনও চটকদার প্রদর্শনী থাকবে না। বরং থাকবে শান্ত, স্নিগ্ধ সবুজ পরিবেশ। যেখানে প্রতিটি গাছ, প্রতিটি পাতা যেন দেবী মাতার আশীর্বাদ। দর্শনার্থীরা মণ্ডপে এসে যেন কিছুটা সময় প্রকৃতির কোলে ফিরে যেতে পারেন, সেই ভাবনা এবারের মূল উদ্দেশ্য।