বিশেষ ভোগ হিসেবে মাকে দেওয়া হয় চ্যাং মাছ পোড়া যা এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে জানান, “এই মন্দিরটি মা শ্মশানকালী মন্দির নামে পরিচিত। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরটি সম্পর্কে শোনা যায়, বর্গী দস্যু ভাস্কর পণ্ডিত বাংলা আক্রমণের সময় এটি প্রতিষ্ঠা করেন। মা কালী ও শিবের ভক্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই এখানে পুজো চলে আসছে দাস ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের হাতে। বর্তমানে পৌরসভার উদ্যোগে মন্দিরটি নতুন করে সংস্কারের কাজ চলছে। দক্ষিণেশ্বর আদলে চূড়া তৈরি ও চারপাশে সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।” দাস পরিবারের সদস্য গুরুপদ দাস বলেন, “আমাদের পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিসর্জনের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
advertisement
বৈষ্ণব সম্প্রদায়ই মূর্তি গড়ে ও পুজো করে। কালীপুজোর বিসর্জনের দিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। একে কেন্দ্র করে মেলারও আয়োজন হয়।” বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের তন্ময় দাস জানান, “এই মা আনুমানিক চারশো বছরের পুরোনো। আমাদের বংশের হারাধন চক্রবর্তী মা কামাখ্যা থেকে এনে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। মা যেহেতু শ্মশানকালী, তাই মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় শ্মশানের মাটি, এমনকি অষ্টাঙ্গে আটটি হাড়ও শ্মশান থেকেই সংগ্রহ করা হয়।
তন্ত্রমতে মায়ের পুজো করা হয়।” দুবরাজপুরের এই শ্মশান কালীপুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় এটি গ্রামবাংলার সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। পৌরসভা ও প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিবছর এই পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।