ঘটনাচক্রে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার দু জনেই উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা৷ সংগঠন দেখার পাশাপাশি একই ওই জেলা থেকেই জনপ্রতিনিধিও নির্বাচিত হয়েছেন৷ ফলে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য শাসক দলের কাছে যথেষ্টই অস্বস্তিকর৷
আরও পডুন: আঙুল নয়, এবার চোখের মণি স্ক্যান করে রেশন! খাদ্য দফতরের বিরাট পদক্ষেপ, শুরু কবে থেকে?
advertisement
বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে এ দিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়৷ জবাবে কাকলি বলেন. ‘ব্যক্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী করেছেন তার জন্য দলের ভাবমূর্তি কেন খারাপ হবে?’ একই সঙ্গে কাকলি বুঝিয়ে িদয়েছেন, জ্যোতপ্রিয় অনুপস্থিত থাকলেও লোকৃসভা নির্বাচনে উত্তর চব্বিশ পরণা জেলায় শাসক দলের বিশেষ কোনও ?অসুবিধা হবে না৷ বারাসতের সাংসদ বলেন, ‘আশা করি কোনও অসুবিধা হবে না৷ আর সমস্যা হলে তার মুখোমুখি হতে হবে৷’
একই সঙ্গে অবশ্য কাকলি অভিযোগ করেছেন, বিরোধী শাসিত সব রাজ্যেই বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে এভাবেই বিপক্ষ শিিবরের নেতাদের টার্গেট করছে৷
রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি-র হানা এবং গ্রেফতারির সময় থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবারও তিনি নবান্নে দাবি করেন, জ্যোতিপ্রিয়র আমলেই খাদ্য দফতর রাজ্যে প্রায় এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড বাতিল করেছে৷ বাম আমলেই এই সমস্ত ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল বাম আমলে৷ সেই সমস্ত রেশন তোলা হত৷ কোথায় যেত সেই রেশন? এটা করতে আমাদের সাত-আট বছর সময় লেগেছে৷’