তিনি বলেন, "রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে হিন্দুদের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোর অভূতপূর্ণ উন্নয়ন হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলির ছিল ভগ্নদশা। কিন্তু রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বাংলার মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দক্ষিণেশ্বর থেকে শুরু করে তারাপীঠ, আদ্যাপীঠ, কালীঘাট, কচুয়া ও চাকলা লোকনাথ বাবার মন্দিরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মু্খ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই চাকলা ও কচুয়ায় লোকনাথ বাবার মন্দিরে নতুন করে উন্নয়নের কাজ চলছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতহীন বীরভূমে কীভাবে পঞ্চায়েত ভোট? কলকাতায় বৈঠকে বসছেন অভিষেক
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এই দু'টি জায়গায় বড়ো ওভারগেটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। ভক্তদের রাতে যাতে থাকতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য ভক্ত নিবাস তৈরির কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। মন্দির চত্ত্বরে শেডের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মন্দিরের ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভক্তদের সুবিধার্থে আরও উন্নয়নের কাজ চলছে।
বনমন্ত্রী বলেন, 'আসল কথা একটাই, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন এইসব তীর্থস্থানগুলিকে সাজিয়ে মডেল রূপ দেওয়ার। কাজ পুরো শেষ হয়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসবেন। শুধু হিন্দুদের হিন্দুদের তীর্থস্থানগুলি নয় পাশাপাশি মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈনদের ধর্মস্থানগুলিও মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সেজে উঠছে। কারণ, আমাদের দেশ, আমাদের রাজ্য সার্বভৌম। আমার নেত্রী শিখিয়েছেন নিজের ধর্মের প্রতি যেমন শ্রদ্ধা, ভক্তি রাখতে হবে তেমনই অন্য ধর্মের প্রতি একই ভাবে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যে কারণে আমাদের দুর্গাপুজো, কালীপুজো সহ বিভিন্ন পুজোয় যেমন মুসলিমরা অংশগ্রহণ করেন তেমনই আমরাওইদ, বড়দিনে একইভাবে তাঁদের সঙ্গী থাকি।" দেগঙ্গার চাকলা লোকনাথ বাবার মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
আরও পড়ুন: শীতের জঙ্গলমহল রাজনীতির হাওয়ায় গরম, একই দিনে সভা মমতা-শুভেন্দু-সুকান্তর
প্রতিদিন কয়েকশো পুণ্যার্থী আসেন বাবা লোকনাথ ব্রক্ষ্ণচারীর জন্মস্থান উত্তর ২৪ পরগণার চাকলা ধামে। তবে বিশেষ দিনগুলিতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে চাকলার লোকনাথ ধাম পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন তীর্থস্থানের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। একসময় চাকলা মন্দিরের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা রেখেছেন তিনি। চাকলার লোকনাথ মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। উন্নয়নের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গেছে, মন্দির প্রাঙ্গনের সৌন্দার্যায়ন, ডালা আর্কেড, পুণ্যার্থীদের জন্য শৌচালয়, মন্দিরে ঢোকার আগে বিশ্ব বাংলা গেটের আদলে তৈরি হচ্ছে তোরন। ভক্তদের সুবিধার জন্য তৈরি হবে অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত গেস্ট হাউজ। মন্দিরের উন্নয়নে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন লোকনাথ মন্দির কমিটি। রাজ্য সরকারের বরাদ্দ অর্থে চাকলা মন্দিরে আসার দু'টি রাস্তার সংস্কার শুরু করেছে পূর্ত দফতর। সামনেই আসছে লোকনাথ বাবার উৎসব৷ তার আগে এই গোটা সৌন্দর্যায়ন শেষ করা যায় কি না, এখন সেটাই দেখার। প্রতিদিনই প্রায় হাজার খানেক ভক্তের ভিড় হচ্ছে এখন। মন্দির প্রাঙ্গণ সেজে উঠলে দূর-দরান্ত থেকে আসা ভক্তদের পাশাপাশি সুবিধা লাভ হবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও।