জঙ্গলমহলের কিছু কিছু গ্রামে শ্রাবণ সংক্রান্তির দিন এখনও এই বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে গান গাওয়া হয়। এই বাদ্য যন্ত্রকে বলা হয় বিষম ঢাকি। মনসা মঙ্গলের ছন্দ গান গাইতে গেলে এই বাদ্যযন্ত্রটির প্রয়োজন হয়। শোনা যায় বিষম ঢাকির ডুগ ডুগ শব্দ ছাড়া দেবী মনসার গান গাওয়া যায় না। প্রত্যেক বছর শ্রাবণ সংক্রান্তিতে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হন মা মনসা। সে সময় গাওয়া হয় মনসার ভাসান বা ঝাঁপান গান। জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গ্রামে মূর্তি স্থাপন করে ঘট বসিয়ে দেবী মনসার উপাসনা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : চন্দননগরের আলোয় ফুটে উঠবে ‘অপারেশন সিঁদুর’, মণ্ডপেও চমক! কোথায় দেখতে পাবেন?
দেবীকে সন্তুষ্ট করলে অশুভ বাধা এবং সর্পের ভয় থেকেও মেলে মুক্তি। তিনি পরিবারকে রক্ষা করে বলে মানেন জঙ্গলমহলবাসী। মনসা সংক্রান্তির আগের দিন রাত্রে হয় জাগরণ। ওইদিন সারারাত ধরে গাওয়া হয় জাগরণ গান। কোথাও আবার এই পালা গানকে বলা হয় ‘সয়লা’। এই পালার বিষয় হল – পদ্মপুরাণ বা মনসা মঙ্গল। জঙ্গলমহলে মনসা পুজা উপলক্ষে অনেক জায়গাতেই মনসামঙ্গল গান গাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। স্থান বিশেষে প্রতিদিন দুটি করে মোট ষোলপালা গান গাওয়া হয়, শেষের দিন থাকে অষ্টমঙ্গলা গান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আবার অনেক থানে গান গাওয়া উপলক্ষে বেহুলা লক্ষিন্দরের বিয়েও হয়। ঝাড়গ্রামের বিনপুর ১ ব্লকের নেপুরা, বেলাটিকরি অঞ্চলে শ্রাবণ সংক্রান্তি বা ভাদ্র সংক্রান্তিতে বা বিশেষ দিনে মানত উপলক্ষে মনসার ভাসান গান পরিবেশিত হয়। এই বাদ্যযন্ত্রটি সারা বছর তোলাই থাকে, শুধু মাত্র শ্রাবণ, ভাদ্র এবং আশ্বিন মাসের সংক্রান্তির সময় ঝাপান মনসা, ডাক মনসা, বিষহরী মনসার পুজো হয়, তখন এর ব্যবহার করা হয়।