মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর গলায় নানা বিষয়ে আক্ষেপের সুর। আরও বেশি করে মনে পড়ছে গত বছরের পুজোর দিনগুলো। একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গত বছর অষ্টমীতে সপরিবারে বেলুড় মঠে গিয়েছিলেন পুজো দেখতে। ছিল বড় ছেলেও। সেখানে নদীতে স্নান, অষ্টমীর পুজো, সন্ধ্যায় আরতি দেখে রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন সকলে।
advertisement
আরও পড়ুন: আচমকা ভ্যাপসা গরমে নাকাল রাজ্যের এই জেলাগুলি, জানুন বিরাট বদলে যাওয়া আবহাওয়ার খবর
বাড়ির পাশে বন্ধ হয়ে থাকা পুজো নতুন করে শুরু করেছিলেন মৃত পড়ুয়ার বাবাই। কিন্তু কীভাবে এবছর এমন শোক সামনে ফের পুজো হবে সেখানে? পুজো হলেও, ঢাকের তালে কি যন্ত্রণাটা আরও বেড়ে উঠবে না? বাবার গলায় কষ্টের কথা, ‘বড় ছেলেটাকে আর কোনওদিন মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হবে না।’ ছেলের মৃত্যুর খবরের পর থেকে দু-চোখের পাতা এক করেননি মা-ও।
আরও পড়ুন: ‘ছেলেদের চুমু খাওয়ার সময় বার বার খোঁচা লাগে’, অকপট অর্জুন মাথুর
সেই মা কীভাবে দুর্গার প্রতিমার সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন, মনের মধ্যে দলা পাকাচ্ছে সন্তান হারানোর কষ্ট। স্বপ্না কুণ্ডু যেন কথাই বলতে পারছেন না। সামনে কাউকে পেলেই তাঁর একটাই প্রশ্ন, ‘যারা ওকে খুন করল, শাস্তি পাবে তো? বড় ছেলে নেই, কী নিয়ে ফিরব বাড়িতে?’ যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটমায় ইতিমধ্যেই একাধিক গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা।