পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন কেন্দ্র হল অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম। কেবলমাত্র শীতের মরশুম নয়, সারা বছরই পর্যটকের ঢল নামে অরণ্য সুন্দরীতে। বসন্ত উৎসবের সময়ও প্রচুর পরিমাণে পর্যটক বেড়াতে আসেন এই অরণ্যসুন্দরীতে। বেলপাহাড়ির ঢেউ খেলানো পাহাড় ও সবুজ শাল জঙ্গল দেখার পাশাপাশি এবার পর্যটকরা দেখতে পাবেন লাল পলাশও। গাছে ফুটে রয়েছে থোকা থোকা লাল পলাশ। পলাশের লাল রঙে রঙিন হয়ে যাবে পর্যটকদের মনও।
advertisement
কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয় ,কাছেই রয়েছে এই ডেস্টিনেশনটি। কলকাতা থেকে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে বেলপাহাড়িতে। বেলপাহাড়ি থেকে বাঁশপাহাড়ির রাস্তা ধরে এগোতে থাকলেই পড়বে চড়াই উতরাই ঢেউ খেলানো পাহাড়ি রাস্তায় পড়বে শিয়ালবৃধা । শিয়ালবৃধা থেকে নামার পথেই ডানহাতে রয়েছে লাল জল আদিম মানুষের গুহা। লাল জলের রাস্তা ধরেই কিছুটা এগোলেই চোখে পড়বে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি লাল পলাশের গাছ। চোখ একবার গেলে হয়তো আর ইচ্ছা করবে না বাড়ি ফিরতে। মনে হবে যেন সারা সময়টাই এখানে কাটিয়ে যেতে।
আরও পড়ুন : নবগ্রাম থেকে নাসা! মহাকাশবিজ্ঞানী হয়ে বিশ্বজয় হুগলির কোন্নগরের সরকারি স্কুলের প্রাক্তনীর
বেলপাহাড়িতে ঘাগড়া জলপ্রপাত, খান্ডারনী লেক, গাড়রাশিনি পাহাড়, কেতকী ঝর্না, ঢাঙ্গিকুসুমের হদিহদি জলপ্রপাত, কাঁকড়াঝোড়ের মনোরম পরিবেশ, কাঁকড়াঝোড় ও চাকাডোবার সবুজ শাল জঙ্গলের বুক চিরে চলে যাওয়া ট্রেকিং রোড, জঙ্গল পথে যাওয়ার সময় ময়ূর দেখার পাশাপাশি এবার পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা থাকছে লাল পলাশের বাগান। তাই এবার বসন্ত উৎসবের দিনগুলি আরও স্পেশাল করে তুলতে হলে এবারের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠুক অরণ্যসুন্দরী।