জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তা নির্মাণ, পর্যাপ্ত শৌচাগার, পানীয় জল সরবরাহের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পর্যটনস্থলে শৌচাগার কোথায় রয়েছে, সেগুলির অবস্থা কেমন, আদৌ খোলা থাকে কি না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কি না — তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। সেই সঙ্গে চিহ্নিত করা হচ্ছে কোথায় কোথায় নতুন শৌচাগারের প্রয়োজন রয়েছে। জানা গিয়েছে, বেলপাহাড়ি সহ বিভিন্ন ব্লকের পর্যটন এলাকায় আরও আট থেকে দশটি শৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে রঙিন ঝাড়গ্রাম ! বদলে যাচ্ছে চেহারা
পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। বেলপাহাড়ির শিমূলপাল সহ বিভিন্ন গ্রামের পাথর শিল্পীদের জন্য একটি স্থায়ী বাজার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন সমীক্ষা শুরু করেছে, যাতে শিল্পীরা নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন। পর্যটকরাও একই জায়গা থেকে শিল্পীদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র কিনে নিতে পারবেন। এছাড়াও, ঝাড়গ্রামে ঢোকার মুখে লোধাশুলি এবং বেলপাহাড়ির প্রবেশপথে দু’টি সুদৃশ্য গেট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পৌঁছনোর রাস্তা যাতে উন্নত ও মসৃণ হয়, তার জন্য রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে (আইআরডিএফ) ৫২ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে ৬৬ কিমি রাস্তা নির্মাণ করা হবে জেলা পরিষদের মাধ্যমে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল জানান,“পর্যটনস্থলগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই প্রাথমিকভাবে খাঁদারানি ও ঢ্যাঙ্গিকুসুমে ক্যাফে চালুর পরিকল্পনা হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা, শৌচাগার, শিল্পীদের হাট সহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বনদফতরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। রাস্তার জন্য ৫২ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে যাতে দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যায়।” সব মিলিয়ে বলা যায়, জেলার পর্যটন মানচিত্রে বেলপাহাড়ি এক নতুন পরিচিতি পেতে চলেছে জেলা প্রশাসনের উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের ফলে।
তন্ময় নন্দী