জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায়, রাস্তায় জঙ্গলে, জঙ্গলে দেখা দিচ্ছে রংবাহারি পলাশ। লোধাশুলি থেকে ঝাড়গ্রাম আসার পথে দেখা যাচ্ছে সবুজকে হারিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে অজস্র লাল রঙের মহুল ও কুসুম গাছ। যা দেখতে একবার হলেও দাঁড়াতে হবে। এই দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটক-সহ জেলার সাধারণ মানুষ। গ্রাম গঞ্জে, শহরে গাছের নীচে পড়ে থাকা পলাশ ফুলগুলি তুলে শিশুদের খেলতে থাকার চিত্র মন জুড়িয়ে দেয়। তেমন বসন্তের আগমনে ঝাড়গ্রাম জেলার একাধিক জায়গায় এই লাল রাঙা মহুল ও কুসুম গাছ যেন এক অন্যরকম শান্তি ।
advertisement
আগুনরাঙা এই মহুল ও কুসুম গাছের রূপ আকর্ষণ করছে আট থেকে আশি প্রত্যেককেই। এতদিন পর্যন্ত জেলার সবুজ বনানীর প্রেমে পড়ত জেলাবাসী কিন্তু হঠাৎ করেই বসন্তের আগমনে এই রংবাহারি গাছের প্রেমে আকৃষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রক্তিম লাল রঙের মোহে পড়ে ডুবে থাকতে চাইছে প্রকৃতিপ্রেমীরা। এই রং বাহারি গাছের নেশা তীব্র, এই রংবাহারি গাছ একবার হলেও প্রত্যেকের মনে দোলা দিয়ে যায়, এই রংয়ের প্রেমে পড়েনি এমন কেউ লক্ষ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন : ‘ভুল’ চিকিৎসায় অসাড় কোমর থেকে পা, তিন চাকার বাহনে বসেই জীবনযুদ্ধ ডেলিভারি বয় কুশলের
অগ্নিবর্ণা পলাশকে দেখে যেমন মনে হয় বসন্ত এসে গেছে, তেমনই এই রং বাহারি গাছগুলি প্রকৃতিতে সারা বছর কিন্তু বিভিন্ন রঙ থাকলেও বসন্তের দু’মাস লাল রঙেরই থাকে। অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রামে এখন সবুজ রং যেন অতীত। চারিদিকে শুধু এখন লাল মহুল ও কুসুম গাছের সমারোহ যা মন জুড়িয়ে দেয় প্রত্যেকেরই। এই দু’মাস রংবাহারি এই দুই গাছের প্রেমে মত্ত হয়ে থাকে যৌবনের উন্মাদনার মতো, এই নেশা আবার যখন আবার যখন ধীরে ধীরে ক্ষীণ হতে থাকে তখন স্মৃতি হয়ে থেকে যায় এই দুই মাস। তখন আবার সবুজের প্রেমে পড়ার পালা আসে এবং সেই স্মৃতি নিয়ে আমরা অপেক্ষায় থাকি আবার একটি অন্য বসন্তের।