শিক্ষক পিঠে থাপ্পড় মারায় পিস্তল নিয়ে স্কুলে হাজির হয়েছিল পড়ুয়া। পিস্তল উঁচিয়ে শিক্ষকের দিকে তেড়েও যায় সে। সহপাঠীরা বাধা দেওয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রকে আটক করে পুলিশ, বাজেয়াপ্ত করা হয় নাইন এম এম পিস্তল। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ ৩৫০ বছর পুরনো! পটে আঁকা চিত্রে দশভূজার আরাধনা, পঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস
advertisement
পরবর্তীতে জানা যায়, দ্বিতীয় পিরিয়ডে ইতিহাসের ক্লাস চলাকালীন ঘটনার সূত্রপাত। পিছনের বেঞ্চে বসা ওই ছাত্র সামনের এক ছাত্রকে বিরক্ত করায় শিক্ষক নিষেধ করেন। ছেলেটি আমল দেয়নি। পরে শিক্ষক গিয়ে দেখেন, সে খাতাতেও কিছু লেখেনি। রাগে শিক্ষক তাঁকে বকাবকি করে পিঠে এক থাপ্পড় মারেন। ক্লাস শেষে প্রধান শিক্ষককে নালিশ জানাতে গিয়েছিল প্রহৃত ছাত্রটি। সেখানে ইতিহাসের শিক্ষককে দেখে সে ‘অভিভাবককে ডাকতে যাচ্ছি’ বলে শাসানি দিয়ে চলে যায়।
এরপর প্রধান শিক্ষক বেরিয়ে যান। টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের ঘরে বসেছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক। তখনই বন্দুক নিয়ে ওই ছাত্র সেখানে হাজির হয়। পরে সিভিক কর্মীরা তাঁকে ধরে তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়িয়ে তাঁকে আটক করে। অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার ঘটনায় এবার ঝাড়খণ্ড থেকে বাবাকে গ্রেফতার করা হল। আজ আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।