TRENDING:

Jhargram News: জঙ্গলমহলে কৃত্রিম রং নয়, প্রাকৃতিক লতার রঙেই সাজানো হয় ঘর-দোর 

Last Updated:

Jhargram News: জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা হাটবাজার থেকে এটিকে কিনে নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা একে প্যানো লতা /পুইন্যা লতা বলেন। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী : লাল মাটির দেশে শাল-পিয়াল ঘেরা আদিবাসী গ্রামগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা। জঙ্গলঘেরা আদিবাসী গ্রামগুলিতে কোথাও তিনদিন, আবার কোথাও বা পাঁচদিন ধরে চলে বাঁদনা-সহরায়। এক একটি গ্রামে উৎসবের দিন ঠিক করে দেন সেই গ্রামেরই মোড়ল। উৎসবের জন্য আদিবাসী মহিলারা তাঁদের মাটির ঘর রঙের প্রলেপ দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন। বাকল দিয়ে মসৃণ করে তোলেন ঘরের দেওয়াল। সেই সঙ্গে দেওয়ালে এঁকে দেন আলপনাও। জানেন কি সেই ছাল বা বাকলের নাম? জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা হাটবাজার থেকে এটিকে কিনে নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা একে প্যানো লতা /পুইন্যা লতা বলেন।
advertisement

এটি অনেকেই হাট থেকে কিনে আনেন আবার অনেকে জঙ্গল থেকেও সংগ্রহ করেন। মূলত এটি আলপনা তৈরিতেই ব্যবহৃত হয়। প্রথমে এটিকে থেতো করে জলে ভিজিয়ে দেওয়া হয়। পরে তা এক ধরনের পিচ্ছিল আঁঠায় পরিণত হয়। পরে আঠালো রসের সাথে আতপ চালের গুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। সেই উপকরণটিকে হাতের আঙুলের সাহায্যে উঠোনের চারপাশ এবং দরজার মুখে ঐতিহ্যবাহী নানান প্রকার নকশা বা আলপনা আঁকা হয়। বেলপাহাড়ির বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন ‘গরুর গোয়াল থেকে খামার পর্যন্ত আলপনা দেওয়া সেই আলপনা তৈরিতে এই প্যানো লতা বা পুইন্যা লতার ব্যবহার করা হয়।’

advertisement

আলপনা আঁকার ক্ষেত্রেই মূলত এই লতা জাতীয় গাছটির ব্যবহার করা হয়। কালীপুজো, দুর্গাপুজো এবং লক্ষীপুজোতে বিভিন্ন ধরনের আলপনা আঁকা হয়। আলপকনার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের নামি দামি ব্র্যান্ডের রঙ পাওয়া যায়। কিন্তু জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা অত্যন্ত সৌখিনতার সাথে এই প্রাকৃতিক লতা জাতীয় গাছটিকে ব্যবহার করেই আলপনা দেন। এটির দাম অত্যন্ত সুলভ। মাত্র ১০ টাকাতেই পাওয়া যায়। এটি রং সাদা অনেকেই আবার এর সাথে নানান প্রকার রং মিশিয়ে রংবেরঙের করে তোলে ঘর দোর কে। যা অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দীপাবলিতে পরিবেশ দূষণ রোধে অভিনব প্রয়াস, মন কাড়ল সকলের, আকাশে আলোর মেলা
আরও দেখুন

ফি বছর কালীপুজোর সময় বাঁদনা-সহরায় উৎসবে মেতে উঠেন জঙ্গলমহলবাসী। বসন্তের বাহা পরবের মত এই সহরায় উৎসবও সাঁওতাল আর মুন্ডা জনগোষ্ঠীর কাছে সমান ঐতিহ্যের। শুরু হয়েছে নিজেদের বাড়ি সাজানো, দেওয়ালে মাটির প্রলেপ দেওয়া, ছবি আঁকা, গবাদি পশু সাজা‍নোর তোড়জোড়। গোটা জঙ্গলমহল যেন নতুন করে প্রাণ পেয়েছে এই উপলক্ষে। এই পরবকে কেন্দ্র করে নানান রীতিনীতি পালন করেন রাঢ় বাংলার অধিবাসীরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: জঙ্গলমহলে কৃত্রিম রং নয়, প্রাকৃতিক লতার রঙেই সাজানো হয় ঘর-দোর 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল