২০২৩-২০২৪ মরশুমে হাতির আক্রমনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন জঙ্গলমহলের কৃষকরা। প্রায় ৪৫-৫০ হেক্টর জমর ধান নষ্ট হয়েছিল হাতির তাণ্ডবে। বিভিন্ন সময়ে হাতির আগমনে ক্ষতি হয়েছে চাষিদের। কিন্তু সেই ছবি একধাক্কায় বদলে গিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। চলতি ২০২৪-২০২৫ মরশুমে হাতির আক্রমনে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ ৫-৮ হেক্টর। বন দফতর থেকে পাওয়া তথ্যে ভিত্তিতে স্পষ্ট অনেকটাই কমেছে হাতির আক্রমণ।
advertisement
আরও পড়ুন: স্নান করতে নেমে ভেসে উঠল যুবতীর দেহ! পা পিছলে গিয়েই হল ঘোর বিপদ, অনুমান পরিবারের
খাবারের খোঁজে হাতির দল বারবার জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। ফলে অনেক সময় হাতির আক্রমণের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে মানুষের। বিগত বছরে হাতির আক্রমণের সংখ্যা ছিল ১৫’র ওপরে। তবে এবার তা কমে হয়েছে মাত্র ৪। ফলে হাতির আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়ার মাত্রা যেমন কমেছে, তেমনভাবেই কমেছে আক্রমণের সংখ্যা। এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বন বিভাগের তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, লোধাশুলি রেঞ্জের পেনিয়াভাঙ্গা, ন্যাকড়াবিন্দা, আমলাচটি, আস্তাশুলি সহ ১৪ -১৫ টি এবং ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বড়িয়া, জোয়ালভাঙ্গা, হদহদি সহ ২০-২৫ টি গ্রাম জঙ্গল লাগোয়া। ফলে এক প্রকার তাদের ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হত। এবার ভয়ের পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে সেখানে। কারণ হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে আসার পরিমাণ ও প্রবণতা কমে গিয়েছে। অন্যান্য বছর ঝাড়গ্রাম ও লোধাশুলী রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ধান চাষ করে সেভাবে লাভের মুখ দেখতেন না কৃষকরা। এবার ভাল হয়েছে ধান।
আরও পড়ুন: মা দাবি করে স্কুলে কন্যা সন্তানকে নিয়ে টানাহেঁচড়া, আটক গৃহবধূ! পুলিশ ডাকলেন প্রধান শিক্ষক
তবে হাতির লোকালয়ে আনাগোনা কমানোর পিছনে রয়েছে বন দফতরের একাধিক কার্যকরী পদক্ষেপ। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে হাতির আক্রমণের সংখ্যা কমাতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে বনবিভাগ। হাতির গতিবিধি নজরে রাখতে বসানো হয়েছে AI ক্যামেরা। বাড়ানো হয়েছে ট্রাকার টিম। এছাড়াও বেড়েছে নজরদারি যানের সংখ্যা। পাশাপাশি বন সুরক্ষা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় ও কুইক রেসপন্স টিম গঠন বেশি করে সাফল্য এনে দিয়েছে। অন্যদিকে বেড়েছে বনাঞ্চল, হাতির দল পেয়েছে পর্যাপ্ত খাবার। সবমিলিয়ে লোকালয়ে কমেছে হাতির হানা।
