পুরপ্রধান ও চার কংগ্রেস কাউন্সিলর ঘাসফুলে শিবিরে যোগ দেওয়ায় ঝালদা পুরসভা ফের চলে গেল তৃণমূলের দখলে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নির্দল কাউন্সিলর তথা ঝালদার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজয় কান্দু, নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু, পিন্টু চন্দ্র ও সোমনাথ কর্মকার বুধবার তৃণমূলে যোগে দিলেন।
এদিন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে এঁরা তৃণমূলে যোগদান করেন৷ প্রসঙ্গত, এই পুরসভা ঘিরে রাজনৈতিক টানাপড়েনের জন্যই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন হতে হয়েছিল বলে দাবি করেন কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব৷
advertisement
গোটা বিষয়টিকে তৃণমূলের ‘সর্বভূক রাজনীতি’ বলে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী৷ ঝালদা পুরসভা দখলের পরে তাঁদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘সমস্ত জায়গা দখল করে বিরোধী শূন্য করতে চায় রাজ্যের বর্তমান শাসকদল৷ এটা তৃণমূলের সর্বভূক রাজনীতি৷ মাত্র ১২টা আসনের ঝালদা পুরসভার দখল নিতে যেভাবে ওরা উঠে পড়ে লেগেছিল, তাতে এতদিন দিন যে স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা বিষয়টিকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন, সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই৷’’
অন্যদিকে, বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর অবশ্য দাবি, কোনও রকমের চাপ প্রয়োগ করে নয়, ওই ৫ জন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তৃণমূল সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে৷ পাশাপাশি, ঝালদার মানুষের সুবিধা এবং উন্নয়নের কথা ভেবেই তাঁদের এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেন সুশান্ত৷
ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসন রয়েছে। পুরভোটের সময়ে প্রথমে পাঁচটি করে আসন জিতেছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস। বাকি দু’টি আসন জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। বোর্ড গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগারের প্রয়োজন ছিল সাত। প্রথমে দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে ফেলেছিল তৃণমূল। কিন্তু পরবর্তীকালে শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার শাসক শিবিরের থেকে সমর্থন তুলে নেন এবং সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেস শিবিরে।
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
যদিও শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল হয়েই থেকে গিয়েছিলেন শুরু থেকেই। এদিকে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও আবার শীলার সঙ্গে সমঝোতা হয় কংগ্রেসের। কংগ্রেসের তরফে শীলাকে পুরপ্রধান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং পাল্টা শীলাও কংগ্রেসকে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে সমর্থন করেছিল। এবার সেই পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্য়ায় ও চার কংগ্রেস কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূলে।
