কালো, ফর্সা, নাদুসনুদুস- যেমন চান, তেমন মিলছে জামাই। জিনিসপত্রের দাম আগুন। এই বাজারে দায়ে না পড়লে কে আর জামাইকে ঘরে ডেকে চব্যচোষ্য খাওয়াতে চায়! শাশুড়ি চাইলেও শ্বশুরের পকেটে টান। গলদা চিংড়ির কথা ভুলে যান, কাটা কাতলা পাঁচশো টাকা, খাসির মাংস সাড়ে আটশো। সেকথা ভেবে লোভনীয় ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন ভাড়া যেতে চাওয়া জামাই বাবাজীবনরা। বলছেন, খাসির মাংস চাই না, ডিম ভাতেই রাজি। শুধু একদিনের জন্য জামাই হতে চান।
advertisement
সুরজিত পাত্র, রোহন সাঁতরা, সোমনাথ পালিত। কালো, ফর্সা, মোটা। পছন্দ মতো জামাই বেছে নিতে পারবেন শাশুড়িরা। হাতে টোপর নিয়ে বাস, টোটো, সব জায়গায় শ্বশুরবাড়ি খুঁজলেন এই তিন যুবক। দশ বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আইবুড়ো নাম ঘোঁচেনি। জামাইষষ্ঠীর মহাভোজেরর গল্প শুনেছেন শুধু লোকমুখে। নিজেরা পরখ করতে পারেননি। তাই আজকের দিনে একবার অন্তত জামাই সেজে শ্বশুরবাড়ি যেতে চান। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটুক- তাতেও কোনও দুঃখ নেই।
আরও পড়ুন- বিয়ে সানাই বাজবে রিঙ্কু সিংয়ের বাড়িতে! KKR তারকার বাগদানের তারিখ জানাজানি হয়ে গেল
কেউ কেউ তাঁদের কাতর আবেদনে সাড়া দিলেন। ঘরে মেয়ে নেই। তবু জামাই ভাড়া করতে রাজি হলেন তাঁরা। আর একজন রাজি হলেন শুধু পান্তাভাত ও লঙ্কাপোড়া খাওয়ানোর শর্তে। রাস্তায় তরুণী বা মধ্যবয়সী মহিলাদের দেখলেই ভাড়ার জামাইরা বললেন, জামাই লাগবে নাকি? আর তাদের কাণ্ডকারখানা দেখে হেসে কুটোকুটি সবাই।
রবিবার জামাইষষ্ঠীর দিন এমনই মজার কাণ্ডকারখানা সাক্ষী গুসকরাবাসী। জামাইষষ্ঠীর দিন রাস্তায় নেমে এমনই কৌতুক করলেন গুসকরার তিন যুবক। জামাইয়ের সাজে সেজে হাতে মাছ ও মিষ্টি নিয়ে তাঁরা কৌতুক করে পথচারীদের বলেন, মাংস-ভাত খাওয়ানোর দরকার নেই। মাছ ডিম হলেই চলবে। উল্লেখ্য, তাঁদের সবটাই ছিল কৌতুক। যা বুঝে ফেলেন পথচারীরাও। ওই তিন যুবক জানান স্রেফ সবাইকে আনন্দ দিতে তাদের এই ভাবনা।