জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার সোরেন গত পাঁচ বছর ধরে বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দী।
সম্প্রতি খবর আসে সুকুমার সোরেনের বাবা লখাই সোরেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে মূমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যল কলেজে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লখাই সোরেনকে বাঁচাতে হলে আপৎকালীনভাবে চার ইউনিট রক্তের দরকার। কিন্তু প্রবল গরম ও ভোটে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততার কারনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যঙ্ক এখন কার্যত রক্তশূন্য।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে লখাই সোরেনের প্রয়োজনীয় রক্ত মিলবে কোথা থেকে তা নিয়ে চূড়ান্ত অসহায় হয়ে পড়ে পরিবার। গোটা ঘটবার খবর এসে পৌঁছায় বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে। এরপরই জেলা সংশোধনাগারের তরফে চার রক্ষী ছুটে যান বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তাঁরা চার ইউনিট রক্তদান করেন।
এক বন্দীর পরিবারের জন্য জেল রক্ষীদের এমন মানবিক কাজে রীতিমত প্রশংসার সুর সব মহলের। খুশি জেল রক্ষী থেকে আধিকারিক সকলেই।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী