কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রথ উৎসব উপলক্ষ্যে মাসির বাড়িতে রোজই দেওয়া হবে ৫৬ ভোগ। স্পেশালভাবে বানানো হবে পায়েস। সেজন্য তিনজন পাচক নিযুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও যাবতীয় রান্নার জন্য থাকছেন আরও ৯ জন পাচক। মাটির উনুনে প্রত্যেকদিন জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রার জন্য রান্না হবে। জগন্নাথকে মাটির ভাঁড়ে ৫৬ ভোগ অর্পণ করার পর ভোগ বিতরণ করা হবে কয়েকশো মানুষকে। চলবে অন্নমহোৎসব। ভক্তদের মেনুতে থাকছে ভাত, ডাল, সবজি, পায়েস ও চাটনি। উল্টো রথের দিন প্রায় দশ হাজার ভক্তকে জগন্নাথের অন্নপ্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রথযাত্রা উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা দিঘায়, দায়িত্বে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকরা
আপ্যায়নে খামতি নেই। উল্টো রথ পর্যন্ত থাকছে এলাহি আয়োজন। খাবার-দাবার থেকে বেশভূষায় থাকছে আকর্ষণ। দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের মাসির বাড়ি কমিটি জানিয়েছে, রোজ জগন্নাথের পুজো পাঠের জন্য থাকছেন ১০ জন পুরোহিত। সেখানে বিভিন্ন বেশ ধারণ করবেন জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা।
কখনও মৎস্য বেশ, আবার কখনও পদ্মবেশ। সেজন্য ইসকনের তরফ থেকে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত দু’জনকে। তাঁরা প্রত্যেকদিন জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার বেশ বদল করবেন। ইসকনের সহ সভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কলকাতা ইসকন থেকে তুলোর তৈরি এইসব পোশাক দিঘায় এসে পৌঁছেছে। পাথরের মূল মূর্তি রাখা থাকবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। নিম কাঠের মূর্তি নিয়ে আসা হবে রথে চাপিয়ে মাসির বাড়িতে।
বর্তমানে যেটা মাসির বাড়ি, আসলে সেটাই ছিল দিঘায় পুরানো জগন্নাথ মন্দির। সেখানে প্রতিদিন পুজো হয় সমুদ্রে ভেসে আসা জগন্নাথ বলরাম শুভদ্রার। এই বছর গোটাটাই স্পেশাল। আলোর মালায় সেজে উঠেছে মাসির বাড়ি।